সুভাষ সরোবর থেকে উদ্ধার কুমীর সদৃশ শিকারি মাছ, উদ্বেগে বিশেষজ্ঞমহল!
কলকাতা, ২২ জুন : কলকাতার সুভাষ সরোবরে খোঁজ মিলেছে এক অদ্ভুৎ দর্শন মাছের। শিকারি এই মাছ অনেকটা এলিগেটর বা কুমীরের মতো দেখতে। ধারালো, তীক্ষ্ণ দাঁত রয়েছে, ৩.৫ ফুট লম্বা এই মাছই রাতের ঘুম কেড়েছে জীববৈচিত্র বিশেষজ্ঞদের।
(ছবি) দেখে নিন 'সুন্দরী' জেলিফিশ কতোটা 'প্রাণঘাতী' হতে পারে
প্রায় দুমাস আগে সুভাষ সরোবর থেকে এই শিকারি কুমীর সদৃশ মাছটির খোঁজ মেলে। এই মাছ আট ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। পূর্ণবয়স্ক এই মাছ শুধু সরোবরের অন্যান্য মাছই নয়, আক্রমণ করতে পারে মানুষের উপরও। এর ফলে স্থানীয় বাস্তু এবং জীববৈচিত্র উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই শিকারি মাছ জলের সমস্ত মাছকে মেরে ফেলতে পারে। এই মাছ চূড়ান্ত মাংশাসী প্রাণী। এদের ডিমও বিষাক্ত হয়। এদের আক্রমণাত্মক প্রকৃতির জন্য পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।
দেশের প্রথম মৎস্য হাসপাতাল তৈরি হবে বাংলায়
তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশে ইতিমধ্যেই ত্রাস হয়ে দাঁড়িয়েছে এলিগেটর গার। তামিলনাড়ুর জলাশয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং আক্রমণও চালাচ্ছে এলিগেটর গার। ২০১৫ সালে মুম্বইয়ের দাদর থেকেও ধরা পড়েছিল এলিগেটর দার।
বন্দুকের নিশানায় রেখে মাছ লুঠ, কারণ অবশ্য মূল্যবৃদ্ধি নয়!
তবে কলকাতার ক্ষেত্রে এটি বেশি উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা, কারণ একেবারে শহরের বুকে খোঁজ মিলেছে এই প্রজাতির মাছের। জুওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার মৎস্য বিশারদ কে সি গোপী জানিয়েছেন, এই প্রথমবার শহরের মধ্যে এই ধরণের মাছের খোঁজ মিলল। একটি প্রতিনিধি দল এলাকায় পাঠানো হবে নমুনা সংগ্রহের জন্য। তাছাড়া এই জলে তাদের বংশবৃদ্ধি হয়েছে কি না বা এলাকার জন্য কত বড় বিপদ হয়ে উঠতে পারে এই মাছ তা পুরোটাই পরীক্ষা করে দেখার বিষয়।
মন ভাল করা হরেকরকম মাছের রেসিপি
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এই মাছে সুভাষ সরোবরে এলো কোথা থেকে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, অনেকসময় অনেকে বিদেশ থেকে বিরল মাছ নিয়ে আসে অ্যাকোরিয়ামে সাজনোর জন্য। তারমধ্যে চলে আসতে পারে। এরপর যখন ক্রমেই মাছের আকার বাড়তে থাকে তখন স্থানীয় জলাশয়ে সেই মাছকে ছেড়ে দেন অ্যাকোরিয়ামের মালিক। এক্ষেত্রেও তেমনটা হতে পারে।
যিনি এই মাছটিকে উদ্ধার করেছেন, তার বন্ধু মাছটি রান্না করে খেয়েও নিয়েছেন। মাছটির ওজন ছিল প্রায় ৫ কেজি। হাল্কা টক টক স্বাদ। মাছটি এতই শক্ত ছিল যে বঁটি বা ছুঁড়ি গিয়ে কাটা যায়নি, শেষমেষ কুড়ুল দিয়ে মাছটিকে কাটতে হয়েছে।