বিশ্বজয়ের পর এবার স্কুলের পাঠ্যক্রমেও কন্যাশ্রী, শিক্ষার কোন স্তরে হবে প্রয়োগ
বাংলার নারীশিক্ষায় আলো জ্বালিয়ে বিশ্বের দরবার থেকে সেরার শিরোপা নিয়ে এসেছে কন্যাশ্রী। সেই কন্যাশ্রীকে আরও মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতেই শিক্ষা দফতরের প্রয়াস।
সিঙ্গুরের কৃষক আন্দোলনের পর পাঠ্যপুস্তকে জায়গা পেতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধের কন্যাশ্রী। বিশ্বের দরবারে সেরার স্বীকৃতি মেলার পর কন্যাশ্রী এবার পাকাপাকিভাবে মলাটবন্দি হতে চলেছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চে সেরার স্বীকৃতি মিলেছে ইতিমধ্যেই। এবার রাজ্যের পড়ুয়ারা তাদের পাঠ্যপুস্তকেই সেই ইতিহাস পড়বে।
এতদিন বাংলার নারীশিক্ষায় আলো জ্বালিয়ে এসেছে কন্যাশ্রী। এই একটি প্রকল্পকে ঘিরেই আমূল পরিবর্তন এসেছে নারীশিক্ষায়। স্কুলছুটের সংখ্যা কমেছে। সবথেকে বড়কথা বাল্যবিবাহের হার কমানো সম্ভব হয়েছে এই প্রকল্পে ভর করে। মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিকে ছাত্রীর সংখ্যা প্রভুত বৃদ্ধি পাওয়ার পিছনে রয়েছে কন্যাশ্রী প্রকল্পেরই নেপথ্য ভূমিকা।
প্রাথমিকভাবে স্থির হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কন্যাশ্রী প্রকল্প প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যক্রমে স্থান দেওয়া হবে। শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই একপ্রস্থ আলোচনা হয়ে গিয়েছে। ৬৩টি দেশের ৫৫২টি প্রকল্পকে হারিয়ে কন্যাশ্রী সেরার সম্মান পায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যাপাধ্যায় রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন। এসবই রাজ্যের প্রাথমিক পর্যায়ের পাঠ্যক্রমে থাকবে।
কন্যাশ্রীর বিশ্বজয়ের পরই স্কুলশিক্ষা দফতরে এই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। তা প্রাথমিকভাবে অনুমোদনও পেয়ে গিয়েছে। এবার চূড়ান্ত রূপ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই গ্রামগঞ্জে কন্যাশ্রী প্রকল্পটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। পাঠ্যক্রমে কন্যাশ্রী পড়ানো হলে অতি সহজে আরও অনেক মানুষকে আকৃষ্ট করবে বলে ধারণা শিক্ষা মহলের।