জনপ্রতিনিধিদের মুখে এ ধরনের মন্তব্য অত্যন্ত নিম্নরুচির, বাবুলকে ভর্ৎসনা বিচারপতির
একজন মহিলা বিধায়কের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করায় কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ভর্ৎসিত হলেন কলকাতা হাইকোর্টে। সোমবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে তীব্র ভাষায় ভর্ৎসনা করেন।
কলকাতা, ২০ মার্চ : একজন মহিলা বিধায়কের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করায় কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ভর্ৎসিত হলেন কলকাতা হাইকোর্টে। সোমবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে তীব্র ভাষায় ভর্ৎসনা করে বলেন, জনপ্রতিনিধিদের এই ধরনের মন্তব্য অত্যন্তন নিম্নরূচির। আগে রাজনীতিকদের মধ্যে এই অশালীনতা ছিল না। এখন মান পড়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা দলীয় নেতা অটলবিহারী বাজপেয়ীর তুলনাও টেনে আনেন।
তবে ভর্ৎসনা করলেও বাবুলের আবেদনের প্রেক্ষিতে গ্রেফতারি পরোয়ানার উপর ছ'সপ্তাহের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছেন বিচারপতি। আগামী ছ' সপ্তাহ পরে আবার এই মামলটি হাইকোর্টে শুনানি হবে। এদিন বিচারপতি বলেন, এজন জনপ্রতিনিধিকে সবসময় নিজের মন্তব্যের প্রতি দায়িত্বশীল থাকতে হবে। তা না করে এখন দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করে চলেছেন প্রতিনিধিরা।
বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি বলেন, এখন দেখছি এটাই রীতি হয়ে গিয়েছে। এরপরই তিনি তুলে ধরেন অটলবিহারী বাজপেয়ীর কথা। বলেন, কোনওদিন বাজপেয়ীজিদের এমন ধরনের মন্তব্য করতে শোনা যায়নি। একজন মহিলা বিধায়কের বিরুদ্ধে যে ধরনের মন্তব্য করেন বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয়মন্ত্রী, তা অতি নিন্দনীয়।
এদিন তাঁর বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। সেই মামলাতেই ভর্ৎসিত হলেন বাবুল। তৃণমূল বিধায়ক মহুয়া মিত্রের করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এর আগে দু'বার বাবুল সুপ্রিয়কে তলব করা হয়েছিল। কিন্তু তদন্তকারীদের সামনে হাজির হননি বাবুল।
উল্টে তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এরপর আলিপুর আদালতে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। সেইমতো গত ১০ মার্চ আলিপুর আদালত কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।