কলকাতা থেকে ধৃত আইএসআই গুপ্তচরকে জেরা করে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
কলকাতা থেকে ধৃত আইএসআই গুপ্তচরকে জেরা করে চাঞ্চলকর তথ্য পেলেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, এখনও বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছে বাংলায়।
কলকাতা, ২৮ অক্টোবর : কলকাতা থেকে ধৃত আইএসআই গুপ্তচরকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেলেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, এখনও বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছে বাংলায়। নেপাল সীমান্তেই তাদের ঘাঁটি। ভারতের প্রতিরক্ষা ও সেনাবাহিনীর গোপন তথ্য সংগ্রহ করতে এই আইএসআই গুপ্তচরদের নিয়োগ করা হয়েছে।
সেইমতো কলকাতা থেকে ধৃত আইএসআই চরকে নিয়েই ইন্দো-নেপাল সীমান্তে তল্লাশি চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা৷ বৃহস্পতিবার দিল্লিতে পাক দূতাবাস কর্মী মেহমুদ আখতারকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা সংস্থা। তাকে জেরা করেই ফয়জল নামে কলকাতার এই চরের খোঁজ পান গোয়েন্দারা। রাতেই অভিযানে নেমে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে চরবৃত্তির অভিযোগে ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়৷ ফয়জলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও কয়েকজন সন্দেহভাজনের খবর মেলে।
আইএসআই-এর ঝিমিয়ে পড়া মডিউলকে পুনরায় সক্রিয় করতেই আবার ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে গুপ্তচর। সাম্প্রতিক অতীতে কলকাতা থেকে বেশ কয়েকজন পাক-চরকে গ্রেফতার করা হয়। তারপরই আইএসআই-এর ক্রিয়কলাপ এ রাজ্যে ঝিমিয়ে পড়ে। সেগুলি ফের সচল করতে তৎপরতা শুরু হয় বলে খবর আসে গোয়েন্দাদের কাছে। সেইমতোই দিল্লি থেকে পাক-চরদের গ্রেফতার করার পরই তাদের থেকে পূর্বভারতের বেশ কিছু এজেন্টের তথ্য মেলে ৷
সেই তথ্য অনুযায়ী কলকাতা থেকে ফয়জলকে আটক করা হয়৷ তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা ল্যাপটপ ও নথি। সেগুলি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা৷সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মাধ্যমেই এ দেশে জাল ছড়াচ্ছে আইএস। গোয়েন্দা জেরায় উঠে আসে, উত্তর কলকাতার এক ব্যক্তি এই চর-চক্র নিয়ন্ত্রণ করছে।
প্রতিরক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য তার মাধ্যমেই পাচার হয়ে যাচ্ছে প্রতিবেশী দেশে। দিল্লি পুলিশের একটি স্পেশাল টিম বৃহস্পতিবারই গোপনে কলকাতায় আসে। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় ওই ফয়জল নামের ব্যক্তিকে। ওই ব্যক্তি গোয়েন্দা জেরায় একাধিক নাম বলছে বলে সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়েছে।