টোলপ্লাজায় সেনা নামানোয় কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি মমতার, প্রত্যাহার না করলে নবান্নে অবস্থানের হুমকি
গত তিনদিন ধরে রাজ্যের দু'টি টোলপ্লাজায় সেনা নামিয়ে বেসরকারি গাড়ির তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এই সেনা নামানোর ঘটনা ভালো চোখে দেখছেন না মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি দফায় দফায় খোঁজ নেন পরিস্থিতির।
কলকাতা, ১ ডিসেম্বর : টোলপ্লাজায় সেনা নামানোয় কেন্দ্রের সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সরাসরি তাঁর অভিযোগ, গাড়ি থেকে টাকা তুলছে সেনা। সেইসঙ্গে চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এদিন সাফ জানিয়ে দেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলায় নাক গলালে বরদাস্ত করবেন তিনি।
গত তিনদিন ধরে রাজ্যের দু'টি টোলপ্লাজায় সেনা নামিয়ে বেসরকারি গাড়ির তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এই সেনা নামানোর ঘটনা ভালো চোখে দেখছেন না মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি দফায় দফায় খোঁজ নেন বর্ধমানের গলসি ও হুগলির ডানকুনি টোল প্লাজায় সেনা ক্রিয়াকলাপ নিয়ে।
সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একবার তিনি সেনা নামানোর সমালোচনা করেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। ফের রাত দশটা নাগাদ তিনি ফের সাংবাদিক সম্মেলন করে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। বলেন, যতক্ষণ না সেনা প্রত্যাহার করা হবে টোল প্লাজা থেকে ততক্ষণ তিনি নবান্নেই বসে থাকবেন। প্রয়োজনে রাতভর নবান্নে থেকে কেন্দ্রের এই অনৈতিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাবেন।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, নোট বাতিল করে অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা জারি করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এখন রাজ্যে সেনা নামিয়ে জরুরি অবস্থা লাগু করতে চাইছে কেন্দ্র। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কখন রাজ্যে সেনা নামানো হয়? যখন জরুরি অবস্থা জারি হয়। কেন্দ্র সেই কাজটাই করতে চাইছে। তাই গলসি ও ডানকুনিতে সেনা নামানো হয়েছে। কেন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলায় নাক গলাতে চাইছে কেন্দ্র? জাতীয় সড়ক কেন্দ্রের অধীন হতে পারে, কিন্তু রাস্তাঘাটের আইনশৃঙ্খলা দেখা রাজ্যের আওতায় পড়ে। সেই কাজে হস্তক্ষেপ করে কেন্দ্রীয় সরকার ভুল করছে।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে, তাঁদের কাজকর্ম নিয়ে কোনও আশঙ্কার কিছু নেই। প্রতিবছর সমস্ত রাজ্যেই এই সময় সমীক্ষা চালানো হয়। সেই রুটিন কাজই করছেন সেনারা।