মধ্যরাতে পুলিশকে চুম্বন মত্ত মহিলার, ইএম বাইপাসে হুলুস্থুলকাণ্ড, দেখুন ভিডিও
গভীররাতে পুলিশকে জড়িয়ে চুম্বন করার অভিযোগ উঠল এক মত্ত মহিলার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ইএম বাইপাসের চিংড়িঘাটা মোড়ে। অভিযোগ শুধু ওই মহিলাই নন তাঁর স্বামী এবং বোনও মত্ত ছিলেন।
কিছুদিন আগেই প্রিন্সেপ ঘাটে রাত ২টার সময় দুই মহিলা সঙ্গিনীকে নিয়ে পুলিশের সঙ্গে মারপিটে জড়িয়েছিলেন এক মধ্যবয়সী পুরুষ। এঁরা সকলেই প্রিন্সেপ ঘাটে গঙ্গার ধারে মদ্যপান করছিলেন বলে অভিযোগ করেছিল পুলিশ। বছর দুয়েক আগে মধ্যরাতে মত্ত অবস্থায় পুলিশকে চড় মেরেছিলেন কলকাতার মেয়েরের ভাইঝি। এমনকী, বছরখানেক আগে গড়িয়াহাটের কাছে মত্ত অবস্থায় পুলিশের উপরে চড়াও হয়েছিলেন এক মত্ত যুবতী এবং তাঁর পুরুষ সঙ্গী। কিন্তু, রাতের কলকাতায় মত্ত মহিলা পুলিশকে জাপটে ধরে চুমু খেয়েছেন এমন কথা আগে কখনও কানে আসেনি।
বুধবার গভীররাতে অবশ্য এমনই এক ঘটনা ঘটল। পুলিশকে সটান চুম্বন করে ফেললেন এক মত্ত মহিলা। রাত ১২.১৫টা নাগাদ এই ঘটনা ই এম বাইপাসের চিংড়িঘাটায়। রাতের নিঃস্তব্ধতাকে ভেদ করে আচমকাই একটি ওয়াগান আর গাড়ি ডিভাইডারে গিয়ে ধাক্কা মারে। ঘটনাটি দেখে রাস্তার ধারে পুলিশ কিয়স্ক থেকে ছুটে আসেন পুলিশকর্মী। দেখা যায় গাড়ির চালকের আসনে এক মহিলা। তাঁর পাশে বসে আছেন এক পুরুষ এবং গাড়ির পিছনে সিটে বেহুঁশ এক অর্ধনগ্ন যুবতী।
ওই পুলিশ কর্মী এক ট্যাক্সি চালকের সাহায্যে গাড়ির সামনে থেকে পুরুষটিকে বের করে আনেন। এমনই সময় চালকের আসনে বসে থাকা মহিলাও নিজে থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন। তারই পিছন পিছন গাড়ির পিছন থেকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় বের হয়ে আসেন যুবতী। পুলিশের অভিযোগ, এই তিন জনই মত্ত অবস্থায় ছিলেন। এবং স্বামী ছাড়া অন্য দুই মহিলার কোনও হুঁশই ছিল না। কর্তব্যরত পুলিশকর্মী চালকের আসনে থাকা মহিলাকে রাস্তার ধারে এনে বসাতে গেলে বিপাকে পড়ে যান। কারণ, ওই মহিলা পুলিশকর্মীটিকে জড়িয়ে সটান চুমু খান বলে অভিযোগ। ট্যাক্সি চালক মহিলাকে ধরতে গেলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়ে। ওই মহিলা ট্যাক্সি চালকের বুকে খামচে দেন বলে অভিযোগ। বেগতিক দেখে পালান ট্যাক্সি চালক। এরপর রাস্তার ধারে ফুটপাতের জঞ্জাল এবং আবর্জনার মধ্যে অচৈতন্য হয়ে পড়ে যান ওই মত্ত মহিলা। অন্যদিকে গাড়ির পিছনের সিটে থাকা অর্ধনগ্ন যুবতীও ততক্ষণে রাস্তার মাঝখানে শুয়ে পড়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এই যুবতীর শরীরে নিম্নাংশে কোনও কাপড়ই ছিল না।
ঘটনাস্থলে স্থানীয়দের ভিড় জমে যায়। ছুটে আসে বেলেঘাটা ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ কর্মীরা। আসেন দক্ষিণ বিধাননগর থানার পুলিশ এবং বেলেঘাটা থানার পুলিশ কর্মীরা। মহিলা পুলিশকর্মী না থাকায় মত্ত দুই মহিলাকে কিছুতেই সরাতে পারছিলেন না পুলিশকর্মীরা। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে রাস্তার মাঝখানে পড়ে থাকেন অর্ধনগ্ন সেই যুবতী এবং ফুটপাতে জঞ্জালের মধ্যে শুয়ে ছিলেন অপর মহিলা। পরে স্থানীয় এক মহিলাকে দিয়ে মত্ত দুই মহিলাকে একটি গাড়িতে শুইয়ে দেওয়া হয়।
ইতিমধ্যেই খবর পেয়ে ওই পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে চলে আসেন। তাঁদের হাতে দুই মত্ত মহিলাকে তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু, পুরুষটিকে আটক করে দক্ষিণ বিধাননগর থানার পুলিশ।
পুলিশ সুত্রে খবর, চালকের আসনে থাকা মহিলা এবং পুরুষটি স্বামী-স্ত্রী। গাড়ির পিছনে আসনে অর্ধনগ্ন যুবতীটি শ্যালিকা। এঁরা সকলেই কলেজ স্ট্রিট এলাকার বাসিন্দা। পুরুষটি কলেজ স্কোয়ার দুর্গাপুজো কমিটির সঙ্গেও যুক্ত। লেট নাইট পার্টি করে পরিবারটি বাড়ি ফিরছিল। সেসময় তাঁদের গাড়ি ডিভাইডারে ধাক্কা মারে।