পুরকরে বেনজির সাড়া, তবে কি করের ফাঁদে সাদা হচ্ছে কালো টাকা!
৫০০ ও হাজার টাকার নোট বাতিল হওয়ার পরই কর আদায়ে বেনজির সাড়া পড়েছে কলকাতা পুরসভায়। মাত্র চার দিনে জমা পড়েছে ৩০ কোটি টাকা! আর এই বিশাল পরিমাণ আদায়ে কলকাতা পুরসভা চলে এসেছে আতস কাঁচের তলায়।
কলকাতা,
১৭
নভেম্বর
:
৫০০
ও
হাজার
টাকার
নোট
বাতিল
হওয়ার
পরই
কর
আদায়ে
বেনজির
সাড়া
পড়েছে
কলকাতা
পুরসভায়।
মাত্র
চার
দিনে
জমা
পড়েছে
৩০
কোটি
টাকা!
আর
এই
বিশাল
পরিমাণ
আদায়ে
কলকাতা
পুরসভা
চলে
এসেছে
আতস
কাঁচের
তলায়।
পুরসভার
কর
আদায়ে
নজর
রাখছে
রিজার্ভ
ব্যাঙ্ক
অফ
ইন্ডিয়াও।
এরই
মধ্যে
বিতর্ক
দানা
বেঁধেছে
কলকাতা
পুরসভার
পুরনো
নোট
জিপিও-র
তরফ
থেকে
ফেরত
পাঠানোয়।
প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র
মোদি
পুরনো
৫০০
ও
হাজার
টাকার
নোট
বাতিল
ঘোষণার
পরই
কলকাতা
পুরসভার
তরফ
থেকে
সিদ্ধান্ত
নেওয়া
হয়,
পুরনো
নেটেই
পুরকর
জমা
দেওয়া
যাবে।
তার
ফলে
মানুষ
পুরনো
নোটে
বকেয়া
পুরকর
মিটিয়ে
'মুক্ত'
হওয়ার
চেষ্টায়
নামে।
আর
এই
হিড়কে
যেমন
বকেয়া
পুরকর
মিটতে
থাকে
দ্রুত,
তেমনি
পুরবাসীর
৫০০
ও
হাজার
টাকার
নোট
কাজে
লাগিয়ে
দিতে
থাকে।
কিন্তু
বিতর্ক
তৈরি
হয়েছে
এই
নিয়ে
যে,
তবে
কি
পুরকর
দেওয়ার
নামে
বা
পুরকর
আদায়ের
নামে
কালো
টাকা
সাদা
করা
হচ্ছে?
এরই মধ্যে জানা গিয়েছে, শুধু বুধবারই পুরকর জমা পড়েছে আট কোটি টাকার। বেশিরভাগ টাকাই জমা পড়ছে নগদে। আগে কিন্তু এমনটা দেখা যেত না। হতে পারে, জমানো টাকা ব্যাঙ্কের লাইন দিয়ে না দিয়ে কর মিটিয়ে ঝামেলা চুকোতে চাইছেন সাধারণ মানুষ। এক ঢিলে দু'পাখি মরছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠে পড়েছে, করের ফাঁকে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছেন কি কালোবাজারিরা। লক্ষাধিক টাকার পুরকর যাঁদের বাকি পড়ে রয়েছে, তাঁরাই জমা দিচ্ছেন ওই অচল ৫০০ ও হাজার টাকা। অনেকেই মনে করছে, কলকাতা পুরসভার এই সিদ্ধান্তে অনেকে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ পেয়ে গেল। তাই পুরো প্রক্রিয়ার ওপর নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরবিআইও। আরবিআই যদি বেনিয়ম দেখে তবে পুর অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করতেও পারে। এ সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
মাত্র দু'দিন আগেই এ নিয়ে জিপিও-র সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। তিনি টাকা পাঠানোর পরও জিপিও সেই টাকা গ্রহণ না করে ফেরত পাঠিয়েছে। আর সেখানেই দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। পুরসভা এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নিতে পারে বলেও মত প্রকাশ করেছিলেন মেয়র।