তদন্ত কমিটির রিপোর্ট বলছে বিবেকানন্দ উড়ালপুল বিপর্যয়ের পিছনে ছিল ঠিক এই কারণগুলিই!
কলকাতা, ১১ আগস্ট : নির্মীয়মান বিবেকানন্দ সেতুর যে বিপর্যয়ে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল তার তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়ল রাজ্য সরকারের কাছে। বুধবার খড়গপুর আইআইটির তদন্ত কমিটি এই রিপোর্টটি জমা দিয়েছে।
এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, নকশায় গলদ এবং নির্মাণসামগ্রীর গুণগত মান সঠিক না থাকার কারণেই উড়ালপুল ধসে পড়েছিল। [উড়ালপুলের নক্সায় ভুল ছিল, রাজ্যের বিপুল খরচ হয়েছিল তাই কাজ থামানো যায়নি, বিস্ফোরক মন্তব্য সুদীপের]
প্রসঙ্গত, ৩১ মার্চ গিরীশ পার্কের কাছে গণেশ টকিজে নির্মীয়মান বিবেকানন্দ সেতুর একটি অংশ ভেঙে পড়ে। আর তাতে ২৫ জনের মৃত্যু হয়। এই দুর্ঘটনাটি কীভাবে হল তার তদন্তের জন্য মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কমিটিতে ছিলেন আইআইটি খড়গপুরের দুই প্রাক্তন অধ্যাপক আনন্দর্পণ গুপ্ত ও স্বপন মজুমদার। [(ছবি) ভেঙে পড়া বিবেকানন্দ সেতুর ভয়াবহ দৃশ্য একনজরে]
এদিন তাদের দেওয়া রিপোর্ট অনুয়ায়ী, পরিস্কারভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, উড়ালপুলের নকশায় ত্রুটি ছিল। ত্রুটিপূর্ণ নকশা অনুমোদন করার জন্যই এই বিপর্যয়। গোদের উপর বিষফোঁড়া হল নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী। যার ফলে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েঠে উড়ালপুল। [ঠিক যে যে কারণে ভেঙে পড়ল বিবেকানন্দ উড়ালপুল!]
অন্যদিকে, উল্লেখযোগ্যভাবে, উড়ালপুল ভেঙে পড়ার সময় রাজ্য সরকার উড়ালপুলের বাকি অংশ পরীক্ষা করিয়ে আর বিপদের আশঙ্কা রয়েছে কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিল। কিন্তু সে পরীক্ষা এখনও হয়ে ওঠেনি। উড়ালপুলের ঝুলন্ত বাকি অংশও অত্যন্ত বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ভূমিকম্পের হাল্কা কম্পনেও ভেঙে পড়ে আবার কোনও বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।