জঙ্গি মোকাবিলায় আইবি-র ধাঁচে নয়া গোয়েন্দা ইউনিট তৈরি হল রাজ্যে
জঙ্গি ক্রিয়াকলাপ রুখতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার ধাঁচে রাজ্যে তৈরি হল নতুন গোয়েন্দা এজেন্সি। লোকাল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। সংক্ষেপে এলআইইউ।
কলকাতা, ২৯ ডিসেম্বর : জঙ্গি ক্রিয়াকলাপ রুখতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার ধাঁচে রাজ্যে তৈরি হল নতুন গোয়েন্দা এজেন্সি। লোকাল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। সংক্ষেপে এলআইইউ। এই ইউনিটকে নিয়ন্ত্রণ করবে এসআইবি অর্থাৎ স্টেট ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো। রাজ্যে আইবির যে সদর দফতর রয়েছে, সেই দফতর থেকেই সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত হবে এই নতুন ইউনিটটি।
কেন তড়িঘড়ি রাজ্যে নতুন গোয়েন্দা ইউনিট তৈরি হল? শুধু রাজ্যে কেন, প্রতি জেলাতেই তো একটি করে ইন্টিলিজেন্স ব্যুরো রয়েছে। প্রতি জেলা পুলিশের অধীনেই তারা কাজ করে। তাহলে নতুন গোয়েন্দা ইউনিট গড়ে তোলা কেন? রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, ঠিকই যে প্রতি জেলাতেই ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো ছিল। তবু এই নতুন ইউনিট খোলার উদ্দেশ্য, এই ইউনিটকে শুঝু জঙ্গি ক্রিয়াকলাপ রোধের কাজে লাগানো।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অধীন যে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো রাজ্যব্যাপী রয়েছে, তারা গোপন তথ্য সংগ্রহের বদলে বেশি গুরুত্ব দিয়ে এসেছে পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও ভিআইপিদের নিরাপত্তার কাজে। তাই নতুন গোয়েন্দা ইউনিটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গোপন তথ্য সংগ্রহ, সন্দেহভাজনদের গতিবিধিতে নজরদারি, অনুপ্রবেশ রক্ষার।
রাজ্যে জাল বিস্তার করেছে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন। জেএমবি জঙ্গি থেকে আইএস চর, আইএসআই-এর জালও বিস্তৃত। সেই জাল কাটতেই নড়চড়ে বসল রাজ্যের সরকার। খাগড়াগড় কাণ্ড ঘটেছে, বর্ধমান থেকে ধরা পড়েছে আইএস জঙ্গি মুসা। তার জাল ছড়িয়ে রয়েছে কলকাতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন জেলায়। তারপর আইএসআই চর তো রয়েছেই। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যে গোয়েন্দা ব্যর্থতার ছবি স্পষ্ট হয়েছে। সেই ক্ষতে প্রলেপ দিতেই রাজ্যের এই উদ্যোগ।
ডিসেম্বর মাস থেকেই এই নতুন ইউনিট কাজ শুরু করে দিয়েছে। ডেপুটেশন ভিত্তিতে রাজ্য ও কলকাতা পুলিশ থেকে অফিসারদের নিয়োগ করা হচ্ছে এই নতুন ইউনিটে। শুধুমাত্র গোয়েন্দারাই স্থায়ীভাবে এই ইউনিটে কাজ করবে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। আইবি পদ্ধতি মেনে এঁদের সমস্ত রকম প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে রাজ্য।