তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে! অবশেষে দলবদল নিয়ে মুখ খুললেন মুকুল রায়
মুকুল রায়ের দলবদল নিয়ে ফের একবার জল্পনা উসকে উঠেছিল। তিনি দল ছাড়ছেন, এটাই ফের রটে গিয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। তবে আগের বারের মতোই ফের একবার মুকুল রায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন তাঁর অবস্থান।
মুকুল রায়ের দলবদল নিয়ে ফের একবার জল্পনা উসকে উঠেছিল। তিনি দল ছাড়ছেন, এটাই ফের রটে গিয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। তবে আগের বারের মতোই ফের একবার মুকুল রায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে সমস্ত জল্পনা ভিত্তিহীন। তিনি দল ছাড়ছেন না, বা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন না। সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের কাছে তিনি এই দাবি করেছেন।
[আরও পড়ুন:কেন্দ্র-রাজ্যে ক্ষমতা বিস্তারে বিজেপির পয়লা নম্বর টার্গেট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়]
এর আগে বছরখানেকের বেশি দলে ব্রাত্য ছিলেন একসময়ের তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড। মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বলতে গেলে প্রকাশ্যে একবারও দেখা যায়নি। তবে গতবছরে সেই সম্পর্কের বরফ গলে ফের তৃণমূলের কিছুটা কাছাকাছি আসেন মুকুল রায়।
তারপরে দলের নেতাদের সঙ্গে মুকুল রায়কে দেখা গেলেও বড় কোনও দায়িত্ব আগের মতো করে নিতে দেখা যায়নি। তবে গত মাসে শহিদ দিবসে মুকুল একপ্রকার ব্রাত্য থাকায় ফের একবার দলে মুকুল রায়ের ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়।
তারপরই ফের একবার দল ছাড়ছেন মুকুল, এই খবর রটে যায়। সংবাদমাধ্যমে ফলাও করে বেরিয়ে যায়, তৃণমূল ছেড়ে বেরিয়ে এবার দল গড়েই ফেলছেন মুকুল রায়।
সারদা কাণ্ডে মুকুল রায়ের নাম জড়ানোর পর থেকেই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে মুকুলের দূরত্ব তৈরি হয়। পরে দূরত্ব ঘুঁচলেও ফের নারদ কাণ্ডে অন্য নেতা-মন্ত্রীর সঙ্গে মুকুল ফেঁসে গিয়েছেন।
জল্পনা চলছিল, মুকুল দল ভেঙে বেরিয়ে গেলে অন্তত জনা পঞ্চাশেক বিধায়ক ও দশজন সাংসদ এমন রয়েছেন যারা মুকুলের দলে নাম লেখাতে পারেন। তা নিয়েই এই কয়কদিন ধরে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে ছিল। তবে সেই জল্পনায় আপাতত মুকুল রায়ই জল ঢেলে দিলেন। জানিয়ে দিলেন তিনি দল ছাড়ছেন না।