হাসপাতাল কসাইখানা নয়, গরিব মানুষকেও সেবা দিতে হবে, নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
হাসপাতাল কসাইখানা নয়, হাসপাতাল ব্যবসার জায়গাও নয়। আবার মনে করিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতা, ২৭ ফেব্রুয়ারি : হাসপাতাল কসাইখানা নয়, হাসপাতাল ব্যবসার জায়গাও নয়। আবার মনে করিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিউটাউনে একটি বেসরকারি হাসপাতালের অনুষ্ঠানে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সব হাসপাতাল সমান নয়, সব হাসপাতাল সেবার নামে ব্যবসা করে না। কিন্তু কিছু কিছু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের জন্য স্বাস্থ্য দফতরের বদনাম হচ্ছে। তিনি হাসপাতালের নামে ব্যবসা কোনওভাবেই বরদাস্ত করবেন না।[রাজ্য সরকারের তরফে যে অভিযোগগুলি তোলা হয় নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে]
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অসুখ দেখিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। পা থেকে মাথা পর্যন্ত পরীক্ষা করা হচ্ছে। টাকা লুঠ করার এইসব পন্থা বন্ধ করতে হবে। সবকিছু যেন লাগামছাড়া না হয়। রোগীর মৃত্যুর পর রোগীর পরিবারের ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে যায়। তাঁরা ভুল করে ফেলেন। আমাদেরও নিশ্চয় কোথাও কোথাও ভুল হয়। তা বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কেন অমানবিক হবে। কেন ফিক্সড ডিপোজিটের সার্টিফিকেট বন্ধক রাখার ঘটনা ঘটবে হাসপাতালে?[মানুষের জীবন নিয়ে ব্যবসা করা যাবে না, নার্সিংহোম কর্তাদের কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর]
মমতা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্য বলেন, কোথা থেকে রক্ত পরীক্ষা করা হচ্ছে, তা বলে দেওয়া হচ্ছে। এসব চলবে না। মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে হবে নার্সিংহোমগুলিকে। মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে হবে। তার কারণ মুমূর্ষুকে নিয়ে রোগীর বাড়ির লোক আপনাদের ভরসায় হাসপাতালে আসেন। সরকারি হাসপাতালে যে কোনও রোগী চিকিৎসা করাতে আসেন, তাঁদের ফ্রি ট্রিটমেন্ট হয়। কোনও গরিব যদি বেসরকারি হাসপাতালে ট্রিটমেন্ট নিতে যান, তাঁর সঙ্গে খারাপ ট্রিটমেন্ট করবেন না। মনে রাখবেন মানুষের থেকে বড় কেউ নেই। মানুষের পাশে দাঁড়ানো মানুষেরই কর্তব্য। তাই আমার আবেদন মানুষের পাশে দাঁড়ান।[হাসপাতালে ব্যবসা বরদাস্ত নয়, পরিষেবাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে]
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি হাসপাতাল হোক বা বেসরকারি হাসপাতাল, কিংবা নার্সিংহোম, গরিব মানুষের সঙ্গে এই ব্যবহার বরদাস্ত করা হবে না। হাসপাতাল তো প্রোমোটিং বিজনেস নয়, যা থেকে আমি ফ্ল্যাট তৈরি করব। যা হয়েছে হয়েছে এবার নতুন করে শুরু করুন। কলকাতা থেকে জেলা সবাইকে এই কথা বলছি। এফডি সার্টিফিকেট বা দলিল চাইবেন না। এইটুকু সীমা রাখুন, তাহলে সরকার আপনাদের ফুল কো-অপারেট করবে। তা না হলে কিন্তু সরকার রেওয়াত করতে দু'বার ভাববে না। এর পাশাপাশি তিন মনে করিয়ে দেন, শিশুপাচারও বরদাস্ত করা হবে না।