একজনের ইন্টারভিউয়ে ৩০ সেকেন্ড! সিভিক ভলেন্টিয়ার মামলায় রাজ্যকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের
সিভিক ভলেন্টিয়ার মামলায় রাজ্যকে তীব্র ভর্ৎসনা করল হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তুললেন, এত কম সময়ের মধ্যে কী করে ইন্টারভিউ সম্ভব?
কলকাতা, ৭ মার্চ : সিভিক ভলেন্টিয়ার মামলায় রাজ্যকে তীব্র ভর্ৎসনা করল হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তুললেন, এত কম সময়ের মধ্যে কী করে ইন্টারভিউ সম্ভব? এত কম সময়ে কী করে ১ লক্ষ ৩০ হাজার প্রার্থীর ইন্টারিভউ সম্ভব? একজন প্রার্থী ৩০ সেকেন্ড থেকে ১২০ সেকেন্ড সময় পেয়েছেন ইন্টারভিউয়ে। তার মধ্যে কি সম্ভব ইন্টারভিউ নেওয়া? আর যাঁরা ইন্টারভিউ নিয়েছেন, তাঁরাই বা কী করে টানা ২২ ঘণ্টা ধরে ইন্টারভিউ নিলেন? কী করে শারীরিকভাবে তা সম্পন্ন হল? সরকারি আইনজীবীকে প্রশ্নে ব্যতিব্যস্ত করে দিলেন অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে।
মঙ্গলবার অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে ও বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। তবে রায়দান আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। রায়দান না হলে একরাশ পর্শ্ন রেখে গিয়েছেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। তার মধ্যে সবথেকে চাঞ্চল্যকর প্রশ্ন- এত হুড়োহুড়ি করে ইন্টারভিউয়ের কী প্রয়োজন হয়ে ছিল। যথার্থ উত্তর দিতে পারেননি সরকারি আইনজীবীরা। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, এই মামলাটির আদতে কোনও ভিত্তি নেই। কারণ বাঁকুড়ার সারেঙ্গআ ও বরিকুলে নিয়োগ না পেয়ে কয়েকজন সিভিক ভলেন্টিয়ার এই মামলাটি করেছিল। কুৎসা রটাতেই এই মামলা করা হয়। রাজ্যজুড়ে সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগে কোনও দুর্নীতি ধরা পড়েনি।
তবে এই ব্যাখ্যাকে সে অর্থ আমল দেননি প্রধান বিচারপতি। তিনি প্রশ্ন করেন, একজন প্রার্থীর ইন্টারভিউয়ে সময় লেগেছে ৩০ সেকেন্ড থেকে ১২০ সেকেন্ড! এই ১২দ সেকেন্ডে কি ইন্টারভিউ সম্ভব? তিনি বলেন, ইন্চারভিউ বোর্ডের সামনে হাজির হতেই তো সময় লেগে যাবে ১০ সেকেন্ড! তারপরই ফের প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির, শারীরিকভাবে কি কারও পক্ষে ২২ ঘণ্টা ধরে ইন্টারিভউ নেওয়া সম্ভব? এত কীসের হুড়োহুড়ি ছিল তার ব্যাখ্যা চান প্রধান বিচারপতি।
অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, আদালতের নির্দেশিকা ছিল না- একদিনে কতজনের ইন্টারভিউ নেওয়া যেতে পারে। প্রত্যেকের শিক্ষাগত যোগ্যতা, অতিরিক্ত যোগ্যতা, এনসিসি-র কাগজপত্র আগে জমা নিয়ে খতিয়ে দেখা হয়। তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, অনেকেই তো এইসব যোগ্যতা ছাড়াই চাকরি পেয়েছেন? তখন এ জি বলেন, ইন্টারভিউ বোর্ডের পরীক্ষকের হাতে ২০ নম্বর ও মাধ্যমিকের প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়েছে। কোনও দুর্নীতি হয়নি।