অধীরের আসন টলমল, ‘রিপোর্ট’ চাইল কংগ্রেস হাইকমান্ড
কংগ্রেসে ভাঙনের জেরে অধীর চৌধুরীর উপর অনাস্থা বাড়ছে হাইকমান্ডের।
অধীরে অনাস্থা বাড়ছে কংগ্রেস হাইকমান্ডের! রাজ্য কংগ্রেসে যত ফাটল বাড়ছে, ততই দূরত্ব তৈরি হচ্ছে হাইকমান্ড-প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের মধ্যে। ঘর ভেঙেই চলেছে, আরও বড়সড় ভাঙনের মুখে দাঁড়িয়ে এখন অস্তিত্বহীনতায় ভুগতে শুরু করেছেন অধীর-মান্নানরা।
মানস ভুঁইয়া, তুষার ভট্টাচার্যের পর শঙ্কর সিংয়ের মতো হেভিওয়েট বিধায়ক হাত ছেড়ে তৃণমূল শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। আরও অনেক বিধায়ক পা বাড়িয়ে রয়েছেন তৃণমূলে যাওয়ার জন্য। কেন এমন হচ্ছে? কেন জাতীয় কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে পাড়ি জমাচ্ছেন হেভিওয়েট নেতারা?
কংগ্রেসে এখন প্রশ্ন, এবার বিধানসভায় বিরোধী দলের মর্যাদা পাওয়া সত্ত্বেও বিধায়কদের ধরে রাখা যাচ্ছে না কেন? রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে সম্প্রতি দিল্লিতে হাইকমান্ডের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান। তাঁর কাছেই অনাস্থা প্রকাশ করে কংগ্রেস হাইকমান্ড।
কংগ্রেস হাইকমান্ড মান্নান সাহেবের কাছে জানতে চায়, দলে ভাঙন রুখতে প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিরই বা কী ভূমিকা? রাজ্য কংগ্রেসে কিন্তু শেষের দিন ঘনিয়ে আসছে ক্রমশ। এখন এককভাবে লড়ে যে কোনএ নির্বাচনেই তৃতীয় বা চতুর্থ হচ্ছে কংগ্রেস। রাজ্যে কংগ্রেসের গড়গুলিও একে একে হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে।
মানস
ভুঁইয়ার
পর
শঙ্কর
সিংয়ের
দলত্যাগেই
অশনি
সংকেত
দেখছে
প্রদেশ
কংগ্রেস।
শঙ্কর
সিং
ও
অরিন্দম
ভট্টাচার্যের
তৃণমূলের
যোগদানের
দিনই
আরও
বড়সড়
ভাঙন-সম্ভাবনার
কথা
জানিয়েছিলেন
তৃণমূল
যুব
কংগ্রেস
সভাপতি
অভিষেক
বন্দ্যোপাধ্যায়।
পরিস্থিতি
সেই
সম্ভাবনাকে
আরও
বাড়িয়ে
তুলেছে।
২১
জুলাইয়ে
মঞ্চে
অন্তত
ছ'জন
কংগ্রেস
বিধায়ক
যোগ
দিতে
পারেন
তৃণমূলে।
তৃণমূল
সূত্রে
জানা
গিয়েছে,
উত্তর
২৪
পরগনার
বাগদার
বিধায়ক
দুলাল
বর,
পশ্চিম
বর্ধমানের
দুর্গাপুরের
বিধায়ক
বিশ্বনাথ
পড়িয়াল,
মুর্শিদাবাদের
বিধা্য়ক
অপূর্ব
সরকার-সহ
এই
জেলারই
আরও
তিনজন
বিধায়ক
কংগ্রেস
ছাড়তে
চলেছেন।
উল্লেখ্য, এবার বিধানসভা নির্বাচন শেষে কংগ্রেস ছিল ৪৪। ইতিমধ্যেই ন'জন বিধায়ক দল ছেড়েছেন। এখন কংগ্রেস পৌঁছেছে ৩৫-এ। আরও ছয় বিধায়ক তৃণমূলে যাওয়ার জন্য পা বাড়িয়ে রেখেছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে জল্পনার জন্ম দিয়েছেন তা সত্যি হলে, কংগ্রেসে সত্যিই অস্তিত্বসংকট তৈরি হবে।
এক্ষেত্রে একটি প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি বিরোধী দলের তকমা হারাতে চলেছে কংগ্রেস। কেননা ৩০-এর নিচে নেমে গেলেই বিরোধী দলের মর্যাদা হারাতে পারে কংগ্রেস। তবে সেক্ষেত্রে অনেক নিয়মের জটিলতা রয়েছে। কেননা দল বদলালেও, কেউই বিধায়ক পদে ইস্তফা দিচ্ছেন না। বাইরে তৃণমূল হলেও বিধানসভার ভিতরে এখনও তাঁরা কংগ্রেসই থেকে গিয়েছেন। আর এই অঙ্কই এখন স্বস্তি দিচ্ছে প্রদেশ কংগ্রেসকে।
প্রদেশ কংগ্রেস মনে করছে, রাজ্যে দলবদল নিয়ে নোংরা রাজনীতির খেলা চলছে। সেই রাজনীতিরই বলি হচ্ছেন অনেক কংগ্রেস বিধায়ক।