দূষণ-বিধি নিয়ন্ত্রণে আরও কড়া গ্রিন বেঞ্চ, ছটপুজোয় সরোবরে ফেলা যাবে না ফুল-বেলপাতা
দূষণ নিয়ন্ত্রণে আরও কড়া হল গ্রিন বেঞ্চ। পরিবেশ আদালতের নির্দেশ, ছটপুজোর দিন রবীন্দ্র সরোবর-সহ কোনও জলাশয়েই ফুল, বেলপাতা ও অন্যান্য পুজোর সামগ্রী ফেলা যাবে না।
কলকাতা, ২ নভেম্বর : দূষণ নিয়ন্ত্রণে আরও কড়া হল গ্রিন বেঞ্চ। পরিবেশ আদালতের নির্দেশ, ছটপুজোর দিন রবীন্দ্র সরোবর-সহ কোনও জলাশয়েই ফুল, বেলপাতা ও অন্যান্য পুজোর সামগ্রী ফেলা যাবে না। পরিবেশবিদ সুভাষ দত্তের করা জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার এই নির্দেশ জারি করে গ্রিন বেঞ্চ। কলকাতা পুলিশ ও কলকাতা উন্নয়ন সংস্থাকে নজরদারি চালাতেও নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশ আদালত।
গতবছর ছটপুজোর দিন দেদার ফুল-বেলপাতা ফেলা হয় রবীন্দ্র সরোবরে। শহর-শহরতলির অন্যান্য জলাশয়ও একইরকমভাবে পুজোর ফুল-বেলপাতায় নোংরা করে তোলা হয়। সেইসঙ্গে দেদার বাজি পোড়ানো তো আছেই। পুরো বিষয়টিই পরিবেশ আদালতের নজরে আনেন পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত। এ বিষয়ে একটি জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করেন তিনি।
তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের বিভিন্ন জলাশয়গুলিতে নোংরা-আবর্জনা ফেলার কারণে দূষণ বেড়েই চলেছে। ছটপুজো যেহেতু নদী, সরোবর বা জলাশয়েই হয়ে থাকে, ওইদিন দেদার ফুল, বেলপাতা ও অন্যান্য পুজোর সামগ্রী ফেলে দূষিত করে তোলা হয়। তা অতিশীঘ্রই বন্ধ হওয়া উচিত। মঙ্গলবার বিচারপতি এসপি ওয়াংডি ও পিসি মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল।
দুই বিচারপতির গ্রিন বেঞ্চ কড়া নির্দেশ জারি করেন, ছটপুজোর দিন রবীন্দ্র সরোবরে ফুল, বেলপাতা-সহ কোনও ধরনের পুজোর সামগ্রী ফেলা যাবে না।পরিবেশ আদালত নির্দেশ দিয়েছে, নিয়ম মানা হচ্ছে কি না, তা নজরদারি চালাবে কলকাতা পুলিশ ও কলকাতা উন্নয় সংস্থা।
রবীন্দ্র সরোবরের ক্ষেত্রে গ্রিন বেঞ্চের নির্দেশ মানা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব নগরপালের। আদালতের আরও নির্দেশ, রবীন্দ্র সরোবর ছাড়াও, রাজ্যের বাকি জলাশয়গুলিতেও ৩ ফুট দূরে বেড়া দিতে হবে। বেড়ার বাইরে সারতে হবে পুজো। পুজোর সামগ্রী ভুলেও জলে ফেলা যাবে না।