রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রী সংঘাত চরমে, বিজ্ঞপ্তিতে কী জানাল রাজভবন
রাজ্যপালের ফোনে অপমা্নিত হয়েছেন বলে দাবি করে মেজাজ হারিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করেন। মুখ্যমন্ত্রীর সেই সাংবাদিক সম্মেলনের পরেই রাজভবন থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সংঘাত চরমে উঠল রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আক্রমণের অদ্যাবধি পরই রাজভবনের তরফে থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর ভাষায় আমি হতবাক।'[আরও পড়ুন:'আমাকে হুমকি দিয়েছেন রাজ্যপাল, আমি লজ্জিত-অপমানিত', আর কী বললেন মমতা]
রাজ্যপালের ফোনে অপমা্নিত হয়েছেন বলে দাবি করে মেজাজ হারিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করেন। মুখ্যমন্ত্রীর সেই সাংবাদিক সম্মেলনের পরেই রাজভবন থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, 'রাজ্যের পরিস্থিত মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আনা রাজ্যপালের কর্তব্য। রাজ্যপাল কখনও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে গেলে চুপ করে থাকতে পারেন না। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে তা জানিয়ে নিজের কর্তব্য করেছেন।'[আরও পড়ুন:দিদির ভয়ে তটস্থ ভায়েদের দল, সম্পর্ক ছিন্ন না করার আর্জি ত্রিপুরার ৫ বিধায়কের]
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, রাজ্যপালের বক্তব্যে এমন কিছু ছিল না, যাতে মুখ্যমন্ত্রী অপমানিত হতে পারেন। রাজ্যপালের বয়ানে লেখা্ হয়, 'আমি জনগণের, আমি কোনও রাজনৈতিক দলের নই। তাই রাজ্যে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে গেলে নীরব থাকতে পারি না।'
এদিকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'আমরা রাজ্যপালের কাছে গিয়েছিলাম বসিরহাটের পরিস্থিতি জানাতে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে সমস্ত বিষয়টি জানিয়েছি আমরা। কেন্দ্রীয় সরকার প্রস্তুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে। ইতিমধ্যে তিন কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী পাঠানো হয়েছে রাজ্যে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং তাঁকে ফোন করে বসিরহাটের পরিস্থিত জানতে চান।
উল্লেখ্য, এদিন রাজ্যপালের কথায় চূড়ান্ত অসম্মানিত হয়ে পদত্যাগের কথাও ভেবেছিলেন বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর মত পরিবর্তন করে পাল্টা আক্রমণের রাস্তায় হাঁটেন তিনি। মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে মেজাজ হারিয়ে তিনি বলেন, 'রাজ্যপালের দয়ায় মুখ্যমন্ত্রী হয়ে আসিনি। রাজ্যপাল আমাকে ফোন করে হুমকি দিতে পারেন না। এমন অসম্মানিত জীবনে হইনি।' তারই প্রেক্ষিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ রাজভবনের।
বসিরহাটে অশান্তির জেরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। তিনি ফোন করে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। রাজ্যের দুই প্রধানের কথোপকোথনের সময় রাজ্যপাল তাঁকে ফোন করে হুমকি দেন বলে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর।