শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে নয়া বিল আনছে সরকার, স্বাধীকারে হস্তক্ষেপ বলে মত শিক্ষাবিদদের
শিক্ষাক্ষেত্রে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে নতুন বিল আনছে রাজ্য সরকার। নতুন এই বিল কার্যকর হলে শিক্ষাক্ষেত্রে স্বাধিকার ভঙ্গ হবে বলে মত অধিকাংশ শিক্ষাবিদের।
কলকাতা, ১৫ ডিসেম্বর : শিক্ষাক্ষেত্রে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে নতুন বিল আনছে রাজ্য সরকার। নতুন এই বিল কার্যকর হলে শিক্ষাক্ষেত্রে স্বাধিকার ভঙ্গ হবে বলে মত অধিকাংশ শিক্ষাবিদের। একাংশের মত, রাজ্য সরকারের আনা নতুন বিলে শিক্ষককুল উপকৃতই হবেন। তবে বিল সমর্থকের সংখ্যাটা নেহাতই কম।
কী পরিবর্তন আনা হচ্ছে নতুন বিলে?
স্থির হয়েছে, সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত কলেজগুলিতে শিক্ষক বদলি করতে পারবে সরকার। কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি নির্বাচন করার ব্যাটন থাকবে সরকারেরই হাতে। সরকারের যাবতীয় নির্দেশ মানতে বাধ্য থাকবে কলেজ-সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি।
এই বিলে আরও বলা হয়েছে, সরকারের নির্দেশ মেনে চলতে বাধ্য থাকবে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। যে কোনও বিষয়ে সরকার যদি জানতে চায়, তা জানাতে বাধ্য থাকবে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এখানেই শেষ নয়, ছাত্র সংসদ নির্বাচনেও হস্তক্ষপ করতে পারবে সরকার। কীভাবে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে, তা স্থির করবে সরকারই।
শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীদের আচরণ বিধি স্থির করে দেবে সরকারই। এককথায় নিয়ম দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলতে চাইছে সরকার। মোট কথা নতুন এই বিলে সমস্ত নিয়ন্ত্রণ থাকবে সরকারের হাতে। এমনকী কলেজের বেতন বন্ধ করে দেওয়ার ক্ষমতাও ঘুরিয়ে রাখা হচ্ছে সরকারের হাতে।
শিক্ষাবিদরা এ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত। কেউ বলছেন উপকার হবে এই বিল আনলে, কেউ বলছেন স্বাধিকারে হস্তক্ষেপ করতেই এই বিল আনা হচ্ছে। যেমন অধ্যাপক মনোজিৎ মণ্ডলের মতে উপকৃতই হবে শিক্ষককুল। আর অধ্যাপক শ্রুতিনাথ গ্রহরাজ, শিক্ষাবিদ অমল মুখ্যোপাধ্যায়ের মতে স্বাধিকারে হস্তক্ষেপ করতেই সরকার এই বিল আনতে চাইছে।