অ্যাপোলোয় শিশুমৃত্যু, রিপোর্ট তলব স্বাস্থ্য অধিকর্তার, তদন্তে হেলথ রেগুলেটরি কমিশন
স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথী জানান, আগামী কালের মধ্যে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট দিতে হবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। হেলথ রেগুলেটরি কমিশন এই ঘটনার তদন্ত করবে।
কলকাতা, ১৯ এপ্রিল : কলকাতা, ১৯ এপ্রিল : সঞ্জয় রায়ের পর চার মাসের শিশুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ফের উত্তাল অ্যাপোলো হাসপাতাল। ফের চিকিৎসায় চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। পাঁচদিন ধরে চিকিৎসা না করে ফেলে রাখার সাংঘাতিক অভিযোগ অ্যাপোলো কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এনেছে মৃত শিশুর মা। এই সংক্রান্ত অভিযোগে স্বতঃপ্রণোদিত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা।
স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথী জানান, আগামী কালের মধ্যে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট দিতে হবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। হেলথ রেগুলেটরি কমিশন এই ঘটনার তদন্ত করবে। সেই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে অ্যাপোলো কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এর আগেও একাধিক অভিযোগ অভিযুক্ত হয়েছে অ্যাপোলো। আবারও অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে। গুরুত্ব দিয়েই দেখা হচ্ছে বিষয়টিকে। যদিও অ্যাপোলো কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়েছে, শিশু মৃত্যুর পিছনে কোনও গাফিলতি নেই।
বুধবার সকালে অ্যাপোলো হাসপাতালে মৃত্যু হয় চার মাসের ওই শিশু কন্যার। অ্যানাস্থেসিয়া ওভারডোজের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। পাঁচদিন শিশুটির চিকিৎসা হয়নি বলে অভিযোগ শিশুটির মায়ের। শিশু মৃত্যুর পরই অ্যাপোলো হাসপাতালে ধুন্ধুমার বেধে যায়। ব্যাপক ভাঙচুর চলে হাসপাতালে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ফুলবাগান থানায় অভিযাগ দায়ের করা হয়েছে।
পেটে ও বুকে ব্যথ্যা নিয়ে জোকা ইসএসআই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল শিশুটিকে। কোলনোস্কপি করার জন্য ১৫ এপ্রিল তাকে অ্যাপোলোয় ভর্তি করা হয়েছিল। কোলনোস্কপি করার সময় অ্যানাস্থেসিয়া ওভারডোজ হয়ে যায়। তার ফলেই মৃত্যু বলে অভিযোগ ওঠে। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ধুন্ধুমার বেধে যায়।
কিছুদিন আগেই সঞ্জয় রায়ের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে অ্যাপোলো হাসপাতাল। অ্যাপোলোর মতো প্রথম সারির হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর ঘটনা ও অযথা বিল বৃদ্ধি রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে নাড়িয়ে দিয়ে যায়। তদন্ত কমিটি গঠন, কমিশন গঠন, আইন প্রণয়ণ- কত কিছুই হয়েছে, তারপরও চিকিৎসা পরিষেবার সেই একই হাল। সেই একই চিত্র প্রকট ওই নির্দিষ্ট হাসপাতালে।