নোটের গেরোয় প্রায় ব্যবসা বন্ধ বউবাজার সোনাপট্টির, বিয়ের মরশুমে মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের
নোটের গেরোয় অঘোষিত বনধ চলছে বউবাজার সোনাপট্টিতে। খুচরো-সঙ্কটে লাটে উঠতে বসেছে ব্যবসা। ভরা বিয়ের মরশুমে চরম ক্ষতির সম্মুখীন সোনা ব্যবসায়ীরা।
কলকাতা, ২১ নভেম্বর : নোটের গেরোয় অঘোষিত বনধ চলছে বউবাজার সোনাপট্টিতে। খুচরো-সঙ্কটে লাটে উঠতে বসেছে ব্যবসা। ভরা বিয়ের মরশুমে চরম ক্ষতির সম্মুখীন সোনা ব্যবসায়ীরা।
ধনতেরসের পর থেকে এই লগনসার দিকেই তাকিয়ে থাকেন সোনা ব্যবসায়ীরা। কেননা বিয়ে মানেই সোনা। গরিব-নিম্ন মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে উচ্চবিত্ত ধনী- সব বিয়েতেই সোনা চা-ই চাই। কিন্তু মোদির নোট-সার্জিক্যালের ধাক্কায় এখন কারও হতেই নেই টাকা। অ্যাকাউন্ট ভ'রে থাকলেও হাতে টাকা ন থাকায় কেউ-ই কেনাকাটা করতে পারছে না। বাধ্য হয়েই পিছিয়ে দিতে হচ্ছে বিয়ে।
বিয়ের কার্ড দেখালে আড়াই লক্ষ টাকা করে ব্যাঙ্ক থেকে দেওয়া হবে, ঘোষণাই সার। ব্যাঙ্কে টাকাই নেই, গ্রাহকরা ১০ হাজার টাকা কেরই পাচ্ছে না অধিকাংশ ব্যাঙ্ক থেকে, আর আড়াই লক্ষ টাকা একজনকে দেবে কী করে ব্যাঙ্ক?
সোনাপট্টির ব্যবসায়ীরা বলছেন, দৈনিক দোকান চালানোর খরচটুকুও উঠছে না। মাছি তাড়াতে হচ্ছে। বেশিরভাগ দোকানই বন্ধ থাকছে তাই। ৮ নভেম্বরের পর থেকেই সমস্যা ঘিরে ধরেছে সোনা ব্যবসায়।
বউবাজারে রাস্তার দুধারে প্রায় ৩৬০টি সোনার দোকান। বাজারে নগদ টাকার জোগান না থাকায় সঙ্কট তীব্রতর রূপ নিয়েছে। কবে সমস্যা মিটবে, মানুষের হাতে পর্যাপ্ত টাকা আসবে, তার উপরই নির্ভর করেছে এই ব্যবসার হাল হকিকৎ। এখন সোনা ব্যবসায়ীরা চিন্তায়, এই সঙ্কট মিটতে মিটতে কি বিয়ের মরশুমই শেষ হয়ে যাবে? তাহলে কপাল চাপড়ানো ছাড়া আর কিছুই করার থাকবে না।
কিন্তু এক শ্রেণির মানুষের কাছে তো ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড রয়েছে। তারা তো কেনাকাটা করতেই পারেন? না, সেখানেও সমস্যার ঘনঘটা। ক্রেডিট কার্ডের ডিউ ডেট সামনে, তাই কার্ডে মোটা অঙ্কের গয়না কেনার ঝুঁকি নিচ্ছেন না অনেকে। একইসমস্যা ডেবিট কার্ডেও। ক্রেতা চেকে পেমেন্ট করলে তা ভাঙানোর আগে গয়না ডেলিভারি দিতে ভরসা পাচ্ছেন না দোকানিরা। টাকা সমস্যায় অনেকেই সোনার কেনাকটায় কাটছাঁট করতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে মার খাচ্ছে ব্যবসা।