গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত মানিকতলা, এলাকায় মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী
কলকাতা, ১৬ অগাস্ট: সোমবার রাত থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ এবং বোমাবাজিতে উত্তপ্ত কলকাতার মানিকতলা। জানা গিয়েছে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে গতকাল একটি ফুটবল ম্যাচ আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের দুটি গোষ্ঠীর যুবকদের মধ্যে বচসা বেধে যায়। যা পরে সংঘর্ষের চেহারা নেয়। এরপর পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল আকার ধারণ করতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করতে হয়।[সুরক্ষিত সংসদ ভবন থেকেই তৃণমূলের টাকা চুরি!]
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি সংঘর্ষে যারা যুক্ত ছিল তারা প্রত্যেকেই তৃণমূল কর্মী। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে একটি গোষ্ঠীর ছেলেরা মত্ত অবস্থায় ছিল বলেও অভিযোগ জানানো হয়েছে। যদিও ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শান্তিরঞ্জন কুণ্ডু এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। তিনি জানান এই ঘটনার সঙ্গে তাঁদের দলের কোনও যোগাযোগ নেই। মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে এলাকা পরিদরশনে গিয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানান, "দুটি পাড়ার মধ্যে ঝামেলা হয়েছে, তা ঠিক হয়ে যাবে"। [ত্রিপুরায় পরিবর্তনের ডাক মমতার, আগরতলার জনসভায় সিপিএমকে তীব্র আক্রমণ তৃণমূল নেত্রীর]
উল্লেখ্যে কৃষ্ণপল্লির ছেলেদের সুভাষপল্লির ছেলেরা মারধর করে। সেই কেন্দ্র করেই অশান্তি ছড়ায়। রেললাইনের ওপর থেরে বোতল-ইঁট বৃষ্টি লাগাতার চলছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের সঙ্গে আধাসামরিক বাহিনীও যোগ দিয়েছে। ধারেই যেহেতু রেললাইন রয়েছে তাই যাত্রীসুরক্ষার কথা মাথায় রেখে জিআরপিও মোতায়েন করা হয়েছে।[গোষ্ঠীকোন্দল রুখতে নাম করে দলীয় নেতা-নেত্রীদের হুঁশিয়ার করলেন মমতা]
এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এছাড়াও রেললাইনের আশেপাশে যে সমস্ত আবাসন রয়েছে, সেই আবাসনের বাসিন্দারাও আতঙ্কের আপাতত নিজেদের বাড়ির মধ্যেই বন্দি রেখেছেন। এই ঘটনায় দুটি গোষ্ঠীর বেশ কয়েক জনকে আটক করেছে পুলিশ। সংঘর্ষে দুপক্ষেরই বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। [৪০ বছর পর বামেদের হাতছাড়া, জঙ্গিপুর পুরসভার দখল নিল তৃণমূল]