ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে আগুন আতঙ্ক, সদ্যোজাতদের কোলে নিয়ে ছুটোছুটি প্রসূতিদের
শনিবার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে আগুন লেগে আতঙ্ক ছড়ায়। দমকলের চারটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভায়। শর্টসার্কিট থেকে এই আগুন লাগে।
ফের আগুন। ফের ঘটনাস্থল সেই হাসপাতাল। শনিবার দুপুর ১২টা নাগাদ ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে আগুন লেগে আতঙ্ক ছড়ায়। মহিলা ওয়ার্ডের এসি থেকে আগুন বের হতে দেখেন রোগীরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই আগুনের খবর পাওয়া মাত্রই খবর দেয় দমকলে। কালবিলম্ব না করে দমকলের চারটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভায়।
বড়সড় দুর্ঘটনা না ঘটলেও আগুন লেগে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে হাপাতালে। রোগীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। সদ্যোজাতদের কোলে নিয়ে ছুটোছুটি ফেলে দেন প্রসূতিরা এবং তাঁদের আত্মীয়-স্বজনরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি তাদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়। এই আগুন লাগার খবরে বাইরে থাকা রোগী ও রোগীর পরিবারদের মধ্যেও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। উত্তজেনা তৈরি হয় হাসপাতালের বাইরেও।
অভিযোগ, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় হাসপাতাল। রোগীদের মধ্যে শ্বাসকষ্টও শুরু হয়ে যায়। রোগীর আত্মীয়-স্বজনরা এই ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দেন। হাসপাতালকর্মী ও চিকিৎসকরা তাঁদের আশ্বস্ত করেন। তবু ভয় আর ক্ষোভ যাওয়ার নয়। এই হুড়োহুড়ির মধ্যে অনেক রোগী আতঙ্কে হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান বলেও অভিযোগ।
দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচতলার মহিলা ওয়ার্ডে আগুন লাগে। প্রসূতি বিভাগের সমস্ত রোগীকে ও সদ্যোজাতদের নিরাপদে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। কেন এই আগুন- তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। শর্টসার্কিট থেকে এই আগুন লাগে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান দমকলের। দমকল ও পুলিশ পৃথক তদন্ত চালাচ্ছে। হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাও ঠিক রয়েছে কি না খতিয়ে দেখছে দমকল।
আমরি হাসপাতালে আগুনের ভয়াবহতা এখনও মানুষের মন থেকে মুছে যায়নি। তাই কোনও হাসপাতালে আগুন লাগলেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে রোগী ও রোগীর পরিবারদের মধ্যে। শুধু আগুন কেন, ধোঁয়া দেখলেই আতঙ্ক গ্রাস করে ফেলে নিমেষে। বারবার হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনার ফলে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে পরিকাঠামো নিয়ে। তদন্তে উঠে এসেছে, অনেক হাসপাতালেই অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র পুরনো, আগুন মোকাবিলার পরিকাঠামোর অভাব, আগুন লাগলে রোগীদের বের করার র্যাকম্পও নেই শহরের অনেক এ ক্যটাগরির হাসপাতালেও।