নারদকাণ্ডে বাড়ছে চাপ, শোভনকে ফের নোটিস ইডির, ডাকা হল শুভেন্দু, ফিরহাদ, সুব্রতকেও
ইডি-র পাশাপাশি নারদ-তদন্তে সক্রিয় সিবিআইও। দুই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা নারদ তদন্তে নয় নয় করে তলব করে ফেলল তৃণমূলের সাত জন হেভওয়েট নেতাকে।
নারদকাণ্ডে এবার তলব করা হল পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে। বুধবার নোটিশ পাঠিয়ে তাঁকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডি। ইডি-র তরফে আগামী সোমবার তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সের অফিসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া মঙ্গলবার ফের নোটিশ পাঠানো হয়েছে কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা দমকলমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও। তাঁকে আগামী ২৫ জুলাই ইডি দফতরে ডাকা হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।
এর আগেও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে তলব করে ইডি। কিন্তু সেবার সরকারি কর্মসূচি থাকার জন্য ইডির কাছে সময় চেয়ে নেন মেয়র। তিনি জানান, প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত থাকার জন্য তিনি নির্দিষ্ট দিনে যেতে পারবেন না ইডি-র দফতরে। তাঁকে যেন দু'সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়। সেইমতো দু'সপ্তাহ পরেই ফের শোভনবাবুকে তলব করা হল।
সেইসঙ্গে এটাও এখন দেখার যে ইডি তলব করার পর শুভেন্দু অধিকারী হাজিরা দেন কি না? তিনি কি প্রথম তলবেই ইডি-র আধিকারিকদের মুখোমুখি হবেন, না কি তিনি এড়িয়ে যাবেন ইডি-র নোটিশ? সে ব্যাপারে শুভেন্দুবাবুর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
নোটিস গিয়েছে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কাছেও। সিবিআই সুব্রতকে নারদকাণ্ডে জেরার জন্য নোটিস দিয়েছিল, কিন্তু পঞ্চায়েতমন্ত্রী তাতে হাজির হননি। পরে হাজির হওয়ার কথা বলে আইনজীবীর মাধ্যমে সিবিআই-কে উত্তর পাঠিয়েছিলেন তিনি।
ইডি-র পাশাপাশি নারদ-তদন্তে সক্রিয় সিবিআইও। তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা তথা পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ছাড়াও কাকলি ঘোষ দস্তিদার, ফিরহাদ হাকিমকে ইতিমধ্যেই তলব করেছে সিবিআই। একাধিকবার জেরা করা হয়ে গিয়েছে সুলতান আহমেদ ও ইকবাল আহমেদকে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে অনেক অজানা তথ্য উঠে এসেছে বলে সিবিআইয়ের দাবি। জেরা করা হয়েছে এসএমএইচ মির্জা ও টাইগার মির্জাকেও। সুতরাং, নারদকাণ্ডে দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার সাঁড়াশি চাপে যে তৃণমূল কর্তারা পড়েছেন তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
এদিকে নারদ কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলসকেও মঙ্গলবার তলব করে সিবিআই। বুধবারই তিনি কলকাতায় পৌঁছন। কারা টাকা নিয়েছেন, তা শনাক্ত করার জন্যই তাঁকে তলব বলে সিবিআই জানিয়েছে। টানা পাঁচদিন তাঁকে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে হবে। সেখানে অভিযুক্তদের ডেকে শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া চালাতে পারে সিবিআই। প্রয়োজন হলে মুখোমুখি বসিয়ে জেরাও করা হতে পারে নারদ কর্তা ও নারদে অভিযুক্তদের।