বিশ্বফুটবল মানচিত্রে স্থান বাংলার দুর্গাপুজোর, সেরা পুজোর প্রকাশ ফিফার ওয়েবসাইটে
কন্যাশ্রীর পর বিশ্বের দরবারে স্থান করে নেবে বাংলার দুর্গাপুজোও। ফিফার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বাংলার শারদ উৎসব এবার বিশ্ব ফুটবল মানচিত্রে জায়গা করে নিচ্ছে। বাংলার সেরা দুর্গাপুজো স্থান করে নেবে ফিফার ওয়েবসাইটে। কন্যাশ্রীর পর বিশ্বের দরবারে স্থান করে নেবে বাংলার দুর্গাপুজোও। এদিন ফিফার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ডিরেক্টর জেভিয়ার সেপ্পিও ঘোষণা করলেন এই কথা।
এবার ভারতে অনুর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের আসর বসছে। ফাইনাল হবে এই বাংলায়। সল্টলেক স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের আসর বসা নিয়ে সাজো সাজো রব চলছে। তারই মধ্যে বাংলায় এসে পড়েছে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। সেই আঙ্গিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপুজোকে বাংলার ব্র্যান্ড হিসেবে তুলে ধরলেন ফিফার প্রতিনিধিদের সামনে। দুর্গাপুজোকে ফিফার ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়ার সম্মতি আদায় করে নিলেন। ফের বাংলাকে জগৎসভায় তুলে ধরলেন তিনি।
এবার সেরা দুর্গাপুজো স্থান পাবে ফিফার ওয়াবসাইটে। দুর্গাপুজোর প্রতিযোগিতা তাই নজরকাড়া। সাজো সাজো রব কমিটিগুলির। সবাই যে যার মতো করে সেজে উঠছে। নানা থিমে, নানা বিষয়ভাবনায় উপস্থাপিত করতে চাইছে দুর্গাপুজোকে।
বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কলকাতার দুর্গাপুজো, ইদ ও মহরম উদ্যোক্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, মহরম যেহেতু একাদশীর দিন, ওইদিন বন্ধ থাকবে বিসর্জন। শুধু একাদশীর দিনই নয়, দশমীর দিনও সন্ধ্যে ছ-টার মধ্যে বিসর্জন সেরে নিতে হবে। বিসর্জন চলবে লক্ষ্মীপুজোর আগের দিন পর্যন্ত।
এদিনের বৈঠকে সমস্ত পুজো কমিটি ও ইদ-মহরম উদ্যোক্তাদের সরকারি গাইডলাইন জানিয়ে দেওয়া হয়। এদিন বৈঠকে ছিলেন কলকাতা পুলিশ, পুরসভা, দমকল, সিইএসসি, রাজ্য বিদ্যুৎ সংস্থার প্রতিনিধিরা। বিশেষ জের দেওয়া হয়েছে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায়।