বৃহত্তম প্রতিমার পর এবার হাজার হাতের দুর্গা, অসুরও হাজার, সত্যি পারে বটে দেশপ্রিয় পার্ক!
কলকাতার দুর্গাপুজোয় যেমন ঐতিহ্য আছে, তেমন চমকও আছে। আর দেশপ্রিয় পার্ক যখন আছে, তখন চমক থাকবে না, তা বলাই বাহুল্য। গতবার বিশ্বের সবথেকে বড় দুর্গার পর এবার হাজার হাত দুর্গা। শুধু কি হাজার হাত? অসুরও যে হাজার। তৃতীয়ায় পুজোর উদ্বোধনের পর থেকেই দর্শনার্থীদের লাইন পড়ে গিয়েছে। সবার মুখে একটাই কথা, সত্যি পারে বটে দেশপ্রিয় পার্ক।
সত্যি, বই সত্যি। গতবার দক্ষিণ কলকাতার দেশপ্রিয় পার্কে বিশ্বের সর্ববৃহৎ দুর্গা প্রতিমা নিয়ে কী কাণ্ডটাই না হয়েছে। এবারও এই সাহস দেখানো, বুকের পাটা আছে বলতে হবে। না, এই কথাগুলো এই প্রতিবেদকের নয়। সবটাই দর্শানার্থীদের মুখের কথা।
যাই হোক পর পর দু'বছর দেশপ্রিয় পার্ক যা দেখাল, তা এক কথায় অনিন্দ্য সুন্দর। গতবার পশ্চিমবঙ্গ তাক লাগিয়ে দিয়েছিল পুরো বিশ্ববাসীকে। এত বড় দুর্গা যে কেউ কোনওদিন দেখেননি। বিশাল মাপের দুর্গা। মা দুর্গার মুখমণ্ডলই ছিল ১২ ফুট। ভাবা যায়! দুর্গা প্রতিমা ৮০ ফুট উঁচু। মণ্ডপ করা হয়েছিল ১৬২ ফুট লম্বা ও ৯০ ফুট চওড়া।
দুর্ভাগ্য কলকাতাবাসীর। পুজো শুরুর আগেই কলকাতা পুলিশ বন্ধ করে দিয়েছিল এই দুর্গা প্রতিমার দর্শন। কারণ, জনপ্লাবন। পূজা শুরুর আগেই জনজোয়ারে ভেসে গিয়েছিল দেশপ্রিয় পার্ক এলাকা। বিশাল যানজটে জেরবার হয়ে গিয়েছিল গোটা দক্ষিণ কলকাতা।
এবার সেই দেশপ্রিয় পার্ক পুজো কমিটি আবারও তাক লাগিয়ে দিয়েছে। এবারের চমক এক হাজার হাতের দুর্গা। এবার আর দশভুজা নয়, সহস্রভুজা। এই এক হাজার হাতে এক হাজার অস্ত্র। সঙ্গে অসুরও এক হাজার। লড়াই তুঙ্গে।
আর এই এক হাজার হাতের দুর্গা দেখার জন্য এবারও জনমনে উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে। তৃতীয় থেকেই লম্বা লাইন। পরিচিত যানজট। হিমশিম পুলিশ। না, এবার আর দর্শন বন্ধ করার নিদান আসেনি। তবে নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় হাজার হাতের দুর্গা দর্শনে।
সবচেয়ে বড় দুর্গার পর এই বছর সবথেকে বেশি হাতের দুর্গা। এক বছর আগের স্মৃতি এখনও মুছে না গেলেও উৎসাহ, উদ্দীপনায় কোনও খামতি নেই। গত বছর সবার মন জিতেও বিশৃঙ্খলায় হেরে যেতে হয়েছিল যায় দেশপ্রিয় পার্ককে। এবার আর হারতে রাজি নয় দেশপ্রিয় পার্কের পুজো কমিটি। তৃতীয়ায় ভিড়, চতুর্থীতে ঢল, আর পঞ্চমীতে জনসুনামি। তাহলে ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী বা নবমীতে কী হবে। আগ্রহ থাকল জানার।