স্বাস্থ্য পরীক্ষার নামে রোগিনীর গোপনাঙ্গে হাত, শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার চিকিৎসক
স্বাস্থ্য পরীক্ষার নামে কিশোরীর গোপনাঙ্গে হাত দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। নাবালিকা রোগীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে বিধাননগর থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে অভিযুক্ত চিকিৎসককে।
কলকাতা, ২৪ অক্টোবর : স্বাস্থ্য পরীক্ষার নামে কিশোরীর গোপনাঙ্গে হাত দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। নাবালিকা রোগীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে বিধাননগর থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে অভিযুক্ত চিকিৎসককে।
রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে সল্টলেকের এএল ব্লকে। ধৃত চিকিৎসকের নাম ডা. তিমিরকান্তি দাস। তাঁকে সোমবার বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বাগুইআটির অশ্বীনিনগরের এক কিশোরী মায়ের সঙ্গে ডাক্তার দেখাতে এসেছিল এদিন। সল্টলেকের এ এল ব্লকের ৩১ নম্বর বাড়িতে তিমিরবাবুর চেম্বার। চেম্বারে ঢোকার পরই নিগৃহীতা কিশোরীর মাকে বাইরে অপেক্ষা করতে বলেন চিকিৎসক।
অভিযোগ, এরপরই পরীক্ষার নাম করে ওই রোগিনীর শরীরের বিভিন্ন গোপনাঙ্গে হাত দিতে থাকেন ডাক্তারবাবু। ওই নাবালিকা আতঙ্কে চিৎকার করে ওঠে। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন কিশোরীর মা। চেম্বারের ঢুকেই তিনি বুঝতে পারেন কী ঘটেছে। চেম্বারের ভিতরে তাঁর মেয়েকে একা পেয়ে শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। ডাক্তারের সঙ্গে এই নিয়ে বাদানুবাদ শুরু হয়।
রাতেই বিধাননগর পূর্ব থানায় ডা. তিমিরকান্তি দাসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন নিগৃহীতার রোগিনীর মা। ঘটনার তদন্তে নেমে বিধাননগর মহিলা থানার পুলিশ রাতেই গ্রেফতার করে অভিযুক্ত চিকিৎসককে।
কিছুদিন আগে একইভাবে রোগী দেখার সময় স্বাস্থ্য পরীক্ষার নামে এক কলেজ ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করা হয়েছিল। সেই ঘটনাতেও অভিযুক্ত হয়েছিলেন শহরের এক চিকিৎসক। তাঁকে জেলও খাটতে হয়েছিল কিছুদিন। শেষমেশ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তিনি জামিন পান। সেই মামলা এখনও বিচারাধীন।
তারপর আবারও এক চিকিৎসক একই ধরনের ঘটনায় অভিযুক্ত হলেন এই শহরের বুকে। সল্টলেকের মতো এলাকায় চিকিৎসকের হাতে কিশোরী রোগিনীর শ্লীলতানির ঘটনা। এই ধরনের ঘটনা বেড়ে চলায় পুরুষ চিকিৎসকের কাছে কোনও মহিলা চিকিৎসা করাতে যেতে ভয় পাবেন। সমাজে এক ভয়ানক বিপদ হয়ে দেখা দিচ্ছে এই অপরাধ।