হেলমেট ছাড়া বাইক চালিয়ে বিতর্কে দিলীপ ঘোষ, এবার সওয়ারি লকেটও
হেলমেট ছাড়াই বাইক চালিয়ে ঘোর বিতর্কে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেই বাইকেই আবার সওয়ারি রাজ্য বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাঁর মাথাও হেলমেটহীন।
হেলমেট ছাড়াই বাইক চালিয়ে ঘোর বিতর্কে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেই বাইকেই আবার সওয়ারি রাজ্য বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাঁর মাথাও হেলমেটহীন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ উপেক্ষা করেই আইনভঙ্গ চলছে নেতা-নেত্রীদের। প্রশ্ন উঠেছে, ওঁরা নেতা-নেত্রী, জনপ্রিয় অভিনেত্রী বলেই কি ছাড়? আইন তো সবার জন্যই সমান!
এখনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। কিন্তু দিলীপ ঘোষ ও লকেট চট্টোপাধ্যায় হেলমেটহীন অবস্থায় বাইকে সওয়ারি হয়ে যে বিতর্ক তৈরি করেছেন, তা নিয়ে এখন চর্চা চলবে। হয়তো অভিযোগও হবে। কিন্তু কোনও বব্যস্থা গ্রহণ কি করতে পারবে পুলিশ প্রশাসন?
মঙ্গলবারই রায়গঞ্জ সফরে গিয়ে পুরভোটের আগো মিছিল করেছেন। ঘুরেছেন ২৭টি ওয়ার্ডেই। বুধবার সকালে একেবারে অন্যচিত্র। বাইকে চালকের আসনে খোদ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মাথায় হেলমেট নেই। একা নয়, দোসর বানিয়ে নিলেন লকেটকে। লকেট চট্টোপাধ্যায় হলেন দিলীপ ঘোষের বাইকের সওয়ারি। তাঁর মাথাও ফাঁকা। তিনি আবার হেলমেটটা হাতের মধ্যে ঝুলিয়ে নিলেন। বাইকে করে ওয়ার্ড দাপালেন দিলীপ-লকেট। সঙ্গে পারিষদরাও।
কেন এই আইনভঙ্গ? দিলীপ ঘোষের সাফ জবাব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে আইনের শাসন রয়েছে না কি? এই তো রায়গঞ্জে ভোটের আগে মাত্রাহীন সন্ত্রাস চলছে। পুলিশের কোনও ভূমিকাও নেই। এলাকার মানুষ সন্ত্রস্ত। তাঁরা ভোট দিতে বের হতে ভয় পাচ্ছেন। তাই এই বাইক র্যালির সিদ্ধান্ত। পুরো এলাকা ঘুরে মানুষকে আশ্বস্ত করাই ছিল আমাদের উদ্দেশ্য। সেই উদ্দেশ্যে আমরা সফল। মানুষ অনেকেই আশ্বস্ত। তাঁদের ভয় অনেকাংশে কেটেছে।
উল্লেখ্য, রায়গঞ্জ পুরসভার ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৪টিতে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। এদিন সকালে বাইক নিয়ে সেই সমস্ত এলাকাই ঘুরে বেড়ান দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায় ও অন্যান্যরা। প্রায় ১৫-২০টি বাইক ছিল এই মিছিলে। কারও মাথাতেই হেলমেট ছিল না। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা অরিন্দম সরকার বলেন, নিয়ম ভাঙাই দিলীপবাবুর কাজ। এর আগেও একাধিকবার নিয়ন লঙ্ঘন করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, হেলমেট ছাড়া বাইক চালিয়ে ও বিনা অনুমতিতে বাইক র্যালি করার জন্য স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছিল কোচবিহার পুলিশ। নিউ কোচবিহার থেকে হেলমেট ছাড়া বাইক চালিয়ে কোচবিহার এসেছিলেন তিনি। ফের আরও একবার হেলমেটহীন বাইক র্যালি করে বিতর্ক বাড়ালেন দিলীপবাবু।