মুখ্যমন্ত্রী ডাইনি! নির্বাচন কমিশনার মেরুদণ্ডহীন! এ কেমন কথা দিলীপের মুখে
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে সামনে বিক্ষোভ-অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বিজেপি।এই বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখতে উঠেই শালীনতার বাঁধ ভাঙলেন দিলীপ ঘোষ।
ফের শালীনতার সীমা ছাড়ালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। নাম না করে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডাইনি বলে সম্বোধন করলেন। শুধু মুখ্যমন্ত্রীই নন, এদিন তাঁর নিশানায় ছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনারও। দিলীপবাবু মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকেও মেরুদণ্ডহীন বলে কটাক্ষ করে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানালেন।
বুধবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে সামনে বিক্ষোভ-অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বিজেপি। আসন্ন পুরসভা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগের আর্জি জানানো হয় বিজেপির তরফে। এই দাবিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে স্মারকলিপিও জমা দেন বিজেপির প্রতিনিধিরা।
আর এই বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখতে উঠেই শালীনতার বাঁধ ভাঙলেন দিলীপ ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, 'রাজ্য পুলিশকে দিয়ে ভোট করানো হচ্ছে রাজ্যে। এতেই প্রমাণিত কিছু কিছু আধিকারিক একেবারেই মেরুদণ্ডহীন। তাই এখনও রাজ্য প্রশাসনের উপর ভরসা রেখেছেন তাঁরা। এই প্রশাসনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন অলীক কল্পনা।'
তাঁর কথায়, 'কখনও ডাইনির হাতে সন্তান মানুষ করতে দিলে সে বাঁচে না। আমাদের রাজ্যের প্রশাসনও সেভাবেই চলছে। আর সেই প্রশাসন দিয়েই গণতন্ত্র রক্ষা করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন রাজ্য প্রশাসনকে গণতন্ত্র রক্ষার দায়িত্ব দিয়েছে। মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশন এই কাজ করে আসলে গণতন্ত্রের মৃত্যু ঘটাচ্ছে। রাজ্য সরকার সেই ডেথ সার্টিফিকেট লেখার দায়িত্বে।'
দিলীপবাবু আরও বলেন, 'রাজ্যে গণতন্ত্র আজ ভুলুণ্ঠিত। কিছু মেরুদণ্ডহীন আধিকারিকের জন্য আজ গণতন্ত্র ধ্বংস হতে বসেছে। গত নির্বাচনগুলিই তার প্রমাণ। নির্বাচনগুলির সময় কেমন সন্ত্রাস হয়েছে, তা দেখেছেন রাজ্যের মানুষ। ভোটাররা নিজের ভোট নিজে দিতে পারছেন না। জোর করে ভোট করানো হচ্ছে। এভাবে কি গণতন্ত্র রক্ষা হতে পারে? আগামী ১৩ আগস্ট রাজ্যে সাত পুরসভা নির্বাচনে আবারও একবার সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটতে চলেছে। তাই অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করতে হবে দাবি বিজেপির।'