অনুমোদন ছাড়াই রাজ্যে সেনা : রাজভবনের সামনে ধরনা তৃণমূল বিধায়কদের
অনুমোদন ছাড়াই রাজ্যে সেনা নামিয়ে রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে কেন্দ্র। প্রতিবাদে রাজভবনের সামনে ধরনা-বিক্ষোভ সামিল হলেন শাসকদলের বিধায়করা।
কলকাতা, ২ ডিসেম্বর : অনুমোদন ছাড়াই রাজ্যে সেনা নামিয়ে রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে কেন্দ্র। এই ঘটনায় স্বাধীকার ভঙ্গ হয়েছে বলে প্রতিবাদ জানাতে রাজভবনের সামনে ধরনা-বিক্ষোভ সামিল হলেন শাসকদলের বিধায়করা। রাজ্যপালের অনুপস্থিতির কারণে রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভে দেখান তাঁরা। পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাজভবনে গিয়ে ফোনে কথা বলেন রাজ্যপালের সঙ্গে। তিনি একদিন সময় চান। সেইমতো আগামীকাল সেনা ইস্যুতে রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি দেবে তৃণমূল।
রাজ্যের টোলপ্লাজাগুলিতে সেনা নামিয়ে তথ্য-তালাশ করছে সেনা। এই কাজ ভালো চোখে নেননি মুখ্যমন্ত্রী। সেনাবাহিনীর এই কার্যকলাপকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাতভর নবান্নে অবস্থান করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, যতক্ষণ না সেনা প্রত্যাহার করা হচ্ছে, ততক্ষণ তিনি নবান্ন থেকে নড়বেন না।
এদিন সকাল থেকেই দফায় দফায় বৈঠক, আলোচনা, বিবৃতির লড়াই চলছে। এরই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজভবনের সামনে ধরনায় সামিল হন বিধায়করা। মুখে কালো কাপড় বেঁধে বিধানসভা থেকে রাজভবন পর্যন্ত পদযাত্রা করেন তাঁরা। রাজ্যপাল উপস্থিত না থাকায় বিধায়করা রাস্তায় বসে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। বিধায়কদের দাবি, কেন্দ্রের স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে তাঁদের প্রতিবাদ। ধরনা বিক্ষোভের অগ্রভাগে ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস প্রমুখ।
পার্থবাবু রাজভবন থেকে বেরিয়ে বলেন, আজ মাননীয় রাজ্যপাল বিশেষ কাজে রাজভবনের বাইরে রয়েছেন। তিনি ফোনে কথা বলেছেন। আশ্বাস দিয়েছেন বিষয়টি তিনি শুনবেন। সেই কারণে একদিন সময় চেয়েছেন তিনি। আগামীকাল তিনি দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার পর তাঁর নির্দেশ মেনে পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করবে তৃণমূল।