নোট বাতিল দানবিক সিদ্ধান্ত ‘গব্বর সিং’ নরেন্দ্র মোদীর, বিধানসভাতেও সরব মমতা
শুধু অমানবিক নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকে দানবিক বলে ব্যাখ্যা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মর্মে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ‘শোলে’র গব্বর সিংয়ের সঙ্গে তুলনা করেন তিনি।
কলকাতা, ৮ ফেব্রুয়ারি : শুধু অমানবিক নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকে দানবিক বলে ব্যাখ্যা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মর্মে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে 'শোলে'র গব্বর সিংয়ের সঙ্গে তুলনা করেন তিনি। তিনি বলেন, যাঁরা আসলে কালো আদমি, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। আমরা আন্দোলন করছিল বলে সিবিআই দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। মমতা হুঁশিয়ারি দেন, সিবিআই দিয়ে আমাদের ডরানো যাবে না। মনে রাখবেন, বাংলার মাটি দুর্জয় ঘাঁটি, এখানে সিবিআই জুজু দেখিয়ে কোনও লাভ হবে না।[ডিমনিটাইজেশনের ধাক্কায় দেশবাসীর আর্থিক স্বাধীনতা খর্ব, মোদীকে টুইট আক্রমণ মমতার]
নোট বাতিলের পর তিনমাস পূর্ণ হল এদিনই। নোট বাতিলের তিনমাস পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণের রাস্তায় হাঁটলেন টুইটারকে হাতিয়ার করে। সকালে টুইটারের পর দুপুরে বিধানসভায় মোদীকে চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন। তাঁকে গব্বর, দানব বললেন। মুখ্যমন্ত্রী টুইটে লেখেন, তিনমাস পরও আর্থিক স্বাধীনতা ফিরে পাননি দেশবাসী। ডিমনিটাইজেশন ও রিমনিটাইজেশনের ধাক্কায় গোটা দেশই বেসামাল। পুঁজিপতিবাদে দুর্ভোগের শিকার সবাই। কেন্দ্রের সরকার মানুষের আর্থিক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। নোট বাতিলের এই সিদ্ধান্ত লক্ষ্যহীন দিশাহীন, উদ্দেশ্যহীন।
বিধানসভায়
তিনি
বলেন,
নোট
বাতিলের
ধাক্কায়
দেশজুড়ে
আর্থিক
সঙ্কট
তৈরি
হয়েছে।
সেই
আর্থিক
সঙ্কট
কতদিনে
কাটবে,
তার
কোনও
দিশা
এখনও
দেখাতে
পারেনি
কেন্দ্রের
সরকার।
এখনও
টাকা
তোলার
ঊর্ধ্বসীমা
বলবৎ
রয়েছে।
তার
ফলে
মানুষ
আর্থিক
স্বাধীনতা
ফিরে
পাননি।
দেশের
আর্থিক
সঙ্কট
মেটাতে
মাত্র
৫০
দিন
সময়
নিয়েছিলেন
প্রধানমন্ত্রী।
তারপর
আরও
৫০
দিন
শেষ
হতে
চলল।
মানুষের
দুর্ভোগ
চলছেই।
কোনও
কালো
টাকা
ফেরত
আসেনি।
বিদেশ
থেকে
একটা
টাকাও
আসেনি।
কালো
টাকা
ফেরতের
জন্য
নোট
বাতিলের
সিদ্ধান্ত
নেওয়া
হয়।
কিন্তু
সেই
উদ্দেশ্য
সাধন
হয়নি।
উল্টে
মানুষের
কাছে
দুর্ভোগের
কারণ
হয়ে
ওঠে
ডিমিনটাইজেশন।
এদিন বিধানসভায় অ্যাডভোকেট জেনারল জয়ন্ত মিত্রের পদত্যাগ নিয়েও মুখ খোলেন। বলেন, তিনি গত ১৯ মে পদত্যাগ করেছিলেন। তারপর আমরা তাঁর কাছে অনুরোধ করেছিলাম এক্সটেনশনের জন্য। তিনি আমাদের সময় দিয়েছিলেন, আমরা নতুন অ্যাডভোকেট জেনারেল নিয়োগ করব খুব শীঘ্রই। ভাঙড় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এলাকাবাসীর না চাইলে কোনও প্রকল্প হবে না। কারও এক টুকরো জমিও নেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে নিশ্চিত করেন তিনি।