পরিকল্পনা করে পাহাড়ে অশান্তি, মদত কেন্দ্রীয় সরকার ও বিদেশি শক্তির, অভিযোগ মমতার
মোর্চা নেতৃত্বের পাশাপাশি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে ফের একবার পাহাড় ইস্যুতে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অশান্ত পাহাড়ে অনির্দিষ্টকালীন ধর্মঘট চলছে। অশান্তি এদিন একমাসে পড়ল। আর এদিনই সাংবাদিক সম্মেলন করে মোর্চা নেতৃত্বের পাশাপাশি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে ফের একবার পাহাড় ইস্যুতে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে আগাগোড়া আক্রমণাত্মক ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, পাহাড়ে পরিকল্পনা করে গন্ডগোল পাকানো হচ্ছে। তাতে যেমন বিদেশি শক্তির হাত রয়েছে, তেমনই পাহাড়ে অশান্তিতে মদত রয়েছে কেন্দ্রের মোদী সরকারেরও।
গত এক মাস ধরে পাহাড় অশান্ত হয়ে রয়েছে। অথচ সবকিছু দেখেও কেন্দ্র মুখ বুজে রয়েছে। এতদিন হয়ে গিয়েছে দেখেও সিআরপিএফ পাঠানো হয়নি। যাদের পাঠানো হয়েছে তা দিয়ে হচ্ছে না।
এদিন পাহাড়ে এক জিএনএলএফ সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় ফের অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছে পাহাড়ে। নানা জায়গায় আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। ডিএসপি অফিসে ভাঙচুর হয়েছে। এই নিয়ে মমতা ফের একবার কড়া বার্তা দেন মোর্চাকে। পাহাড়ে হিংসাত্মক আন্দোলন চালানো মোর্চাকে সতর্ক করে বলেন, যারাই একাজ করছেন, মনে রাখবেন কঠিন পদক্ষেপ করা হবে।
মমতার অভিযোগ, পাহাড় স্তব্ধ করে রেখে, গাড়ি-ঘোড়া, স্কুল, কলেজ, দোকানপাট বন্ধ রেখে, সরকারি দফতর খুলতে না দিয়ে মোর্চা মানুষের জীবন বিপর্যস্ত করেছেন। অথচ নিজেরা খাবারের যোগান ঠিক রেখেছেন। নিজেরা করে খাচ্ছেন, আর মানুষকে বিপদে রেখেছেন।
এদিন মমতা ফের একবার মোর্চা নেতৃত্বকে সংযত হওয়ার আবেদন করেন। জানান, মোর্চা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন চালালে কারও কিছু বলার নেই। তবে সেপথে না গিয়ে পাহাড় অশান্ত করা হচ্ছে। যদি সংযত হয়ে মোর্চা আবেদন করে তাহলে ১০-১২ দিনের মধ্যে বৈঠকেও বসতে রাজি তিনি। তবে তার আগে পাহাড়ে হিংসার পরিবেশ বন্ধ করতে হবে। তাহলেই মোর্চাকে বৈঠকে ডাকা হবে। রাজ্য সরকার এগিয়ে আসবে।