লাইন পার হতে গিয়ে ট্রেন কাটা যাত্রী, আড়াই ঘণ্টা পর চালু শিয়ালদহ মেইন শাখার ট্রেন
লাইন পার হতে গিয়ে যাত্রীর ট্রেন কাটা পড়াকে কেন্দ্র করে যাত্রী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠল সোদপুর স্টেশন চত্বর। বন্ধ শিয়ালদহ মেইন শাখার ট্রেন চলাচল। উত্তেজিত যাত্রীরা ভাঙচুর চালায় স্টেশন মাস্টারের অফিস।
কলকাতা, ১৯ জনুয়ারি : লাইন পার হতে গিয়ে যাত্রীর ট্রেন কাটা পড়াকে কেন্দ্র করে যাত্রী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠল সোদপুর স্টেশন চত্বর। বন্ধ হয়ে যায় শিয়ালদহ মেইন শাখার ট্রেন চলাচল। যাত্রী বিক্ষোভে উত্তাল সোদপুর স্বাভাবিক হতে সময় লেগে যায় আড়াই ঘণ্টা। বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা আড়াই ঘণ্টার পর অবরোধ তুলে নেওয়ায় স্বাভাবিক হতে শুরু করে ট্রেন চলাচল।
এদিন ট্রেনে কাটা হওয়ার পর এক যাত্রীর দেহ দীর্ঘক্ষণ রেল লাইনে পড়ে থাকায় বিক্ষোভ চরম আকার নেয়। উত্তেজিত যাত্রীরা ভাঙচুর চালায় স্টেশন মাস্টারের অফিস। যাত্রীরা ট্রেন লাইনে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। অফিস টাইমে এই ঘটনায় চূড়ান্ত নাকাল হতে হয় যাত্রী সাধারণকে।
অভিযোগ, ঘোষণা ছাড়াই এক নম্বর লাইন দিয়ে থ্রু ট্রেন পাস করছিল। সেইসময় তড়িঘড়ি করে লাইন পার করতে গিয়ে ট্রেন কাটা পড়েন এক যাত্রী। এ ব্যাপারে রেল কর্তৃপক্ষ চরম উদাসীন ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। খুব সঙ্কীর্ণ জায়গা দিয়ে যাত্রীরা লাইন পারাপার করে, যার জেরে দুর্ঘটনা ঘটে। যাত্রীদের অভিযোগ, শুধু এক্ষেত্রেই নয়, ট্রেনের ঘোষণা নিয়ে সমস্ত স্টেশনই রেল কর্তৃপক্ষ তরম উদাসীন ভূমিকা পালন করে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, এই দুর্ঘটনার পর যদি চটজলদি মৃতদেহ সরিয়ে নেওয়া হত, তাহলে উত্তেজনার পারদ এতটা চড়ত না। মৃতদের অমানবিকভাবে পড়ে থাকায় যাত্রীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। সোদপুর স্টেশন মাস্টারের ঘরে চড়াও হয়ে যথেচ্ছভাবে ভাঙচুর চালায় যাত্রীরা। রেলের প্লাটফর্মেও ভাঙচুর চালানো হয়। জিআরপি ও আরপিএফ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। যাত্রী বিক্ষোভের জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে শিয়ালদহ মেইন শাখরা সমস্ত ট্রেন চলাচল।