অ-কমিউনিস্ট সুলভ আচরণের জন্য ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব আলিমুদ্দিনের
অ-কমিউনিস্ট সুলভ আচরণের জন্য রাজ্যসভার তরুণ সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করল আলিমুদ্দিন। সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারে রাশ টানার বার্তা দিতে চাইছেন রাজ্য নেতারা।
কলকাতা, ২২ ফেব্রুয়ারি : অ-কমিউনিস্ট সুলভ আচরণের জন্য রাজ্যসভার তরুণ সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করল আলিমুদ্দিন। সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারে রাশ টানার পাশাপাশি দলীয় সাংসদকে ডেকে বার্তা দিতে চাইছেন রাজ্য নেতারা। দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি ইতিমধ্যেই রাজ্য কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছেন সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক কার্যকলাপ নিয়ে ব্যবস্থা নিতে।[অ্যাপেল ঘড়ি-মন্ট ব্লাঁ পেন বিতর্কে চাকরি খাওয়ার হুমকি সাংসদ ঋতব্রত-র]
সেই নির্দেশ মেনেই এদিন দলীয় সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করে রাজ্য কমিটি। সেইসঙ্গে এদিন দলের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, সোশাল মিডিয়ায় নিজের ছবি তুলে পোস্ট করে আত্মপ্রচার কমিউনিস্টদের শোভা পায় না। ঋতব্রত কাণ্ড থেকে এ ব্যাপারে শিক্ষা নিতে চাইছে সিপিএম। দলের সর্বস্তরে সেই বার্তা ছড়িয়েও দিতে চাইছে।
সম্প্রতি সমলোচনার মুখে পড়ে সমালোচকের চাকরি খেয়ে নেওয়ার মতো পদক্ষেপ করে বিপাকে পড়েছেন ঋতব্রত। নিজে সমস্যায় পড়েছেন, সমস্যায় ফেলেছেন দলকে। তাই স্বাভাবিকভাবেই দলের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁকে। ঋতব্রতর আচরণে চরম ক্ষুব্ধ রাজ্য কমিটি ও পলিটব্যুরোও। এই অবস্থায় ঋতব্রতর কাছে কৈফিয়ৎ চাওয়া হবে- কেন ঋতব্রতর এই আচরণ? তাই আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে তলব করে তাঁকে ভর্ৎসনা করা হতে পারে।
জানতে চাওয়া হবে, কেন চাকরি খেয়ে নেওয়ার হুমকি তাঁর মুখে? সিপিএমের তরুণ সংসদ এ প্রস্নর জবাব দেয়নি সংবাদমাধ্যমের সামনে। তিনি জানিয়েছিলেন, পার্টির চিঠি পেলেই তিনি জবাব দেবেন। এখন তিনি কী বলেন, তাই দেখার।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শিলিগুড়িতে ডার্বি ম্যাচ দেখতে গিয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বিপুল উৎসাহে ছবি তোলেন। সেই ছবিই ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে। ছবিতে তাঁর হাতে দেখা যায় দামী অ্যাপেল ঘড়ি, পকেটে দামী মন্ট ব্লাঁ পেন। প্রশ্ন উঠে পড়ে, বামপন্থী মতাদর্শ যাঁর পাথেয়, তিনি কেন এমন বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন?
সোশ্যাল মিডিয়ায় বেঙ্গালুরুর তথ্যপ্রযুক্তির এক কর্মী এই প্রশ্ন তোলায় তাঁর চাকরিক্ষেত্রে ফোন করে ওই তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীকে চাকরি থেকে সরিয়ে দিতে প্রভাব খাটান। একজন কমিউনিস্ট নেতার এহেন আচরণ সমালোচিত হয় সব মহলেই। পার্টিও তাঁর পাশে দাঁড়ায়নি।