আজ তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিধানসভায় অনাস্থা আনছে বাম-কংগ্রেস, আলোচনায় থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী!
গত সাড়ে পাঁচ বছরে অনেক অনাস্থা জমা হয়েছে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ হয়েছে, কিন্তু তা খুবই ক্ষীণ। বড় বড় ইস্যু পেয়েও কিছুই করতে পারেনি বিরোধী বাম ও কংগ্রেস শিবির।
কলকাতা, ৯ ডিসেম্বর : গত সাড়ে পাঁচ বছরে অনেক অনাস্থা জমা হয়েছে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ হয়েছে, কিন্তু তা খুবই ক্ষীণ। বড় বড় ইস্যু পেয়েও কিছুই করতে পারেনি বিরোধী বাম ও কংগ্রেস শিবির। এবার রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ও শাসকদলের অগতান্ত্রিক ক্রিয়াকলাপের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে অনাস্থা আনতে চলেছে বিধানসভায়। আজই, রাজ্য বিধানসভায় অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি হতে চলেছে তৃণমূল সরকার।
তবে সবেথেকে উত্তেজক হল, আজ বিধানসভা বিরোধীদের আনা অনাস্থা আলোচনায় অংশ নিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। আলোচনায় সময় নিয়ে এখন মতপার্থক্য রয়েছে। কতক্ষণ আলোনা হবে, তা নিয়ে শাসক-বিরোধী এখনও সহমত হতে পারেনি। বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর দাবি ছিল, অন্তত দু'ঘণ্টা আলোচনার সময় দিতে হবে। অধ্যক্ষ এ ব্যাপারে কোনওভাবেই দেড়ঘণ্টার বেশি সময় দিতে নারাজ।
এ প্রসঙ্গে পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিরোধীদের আনা এই অনাস্থা হাস্যকর। মাত্র ছমাস আগে ভোট হয়েছে, তখনই তো চূড়ান্ত আস্থা প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। মানুষ দু'হাত তুলে তাঁদের প্রতি আস্থা প্রদর্শন করেছেন। তাহলে আর এই অনাস্থা ডাকার কী আছে? তা নিয়ে আবার কীসের আলোচনা?
আসলে এই পাঁচ বছরে সারদা থেকে শুরু করে নারদ কেলেঙ্কারি, হালে শিশু পাচার থেকে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি, অনাস্থার অনেক ইস্যু জমা রয়েছে বিরোধীদের তুনে। আর সবথেকে বড় ইস্যু হল দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর তণমূলের বেলাগাম দল ভাঙানোর খেলা। আর এই ইস্যুতেই সবথেকে বেশি সরব হবে কংগ্রেস ও বামেরা।
বিধানসভায়
তৃণমূল
কংগ্রেসের
বিরুদ্ধে
অনাস্থা
আনতে
আগেই
নোটিশ
জারি
করেছিল
বামফ্রন্ট
ও
কংগ্রেস।
মঙ্গলবার
নেটিশ
জারি
করার
পর
বাম
ও
কংগ্রেস
আলোচনা
দাবি
করেন।
সেইমতো
আজ
শুক্রবার
বিধানসভায়
অনাস্থা
নিয়ে
আলোচনা।
বিপুল
সংখ্যাগরিষ্ঠতা
নিয়ে
দ্বিতীয়বার
মুখ্যমন্ত্রী
পদে
শপথ
নিয়েছেন
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়।
মাত্র
সাত
মাস
আগে
বিরোধী
বাম-কংগ্রেস
জোট
ল্যাজেগোবরে
হয়েছে।
তারাই
আবার
অনাস্থা
প্রস্তাব
আনছে
প্রবল
প্রতাপশালী
সরকারের
বিরুদ্ধে।
শুনলে
অবিশ্বাস্য
মনে
হলেও
এটাই
সত্যি।
সরকার গঠনের পর জেলায় জেলায় তৃণমূল দল ভাঙানোর যে নোংরা খেলায় মেতে উঠেছে, তা নিয়েই সবক শেখাতে চাইছে কংগ্রেস-বামসহ বিরোধী শিবির। শিশু পাচারের বিশাল জাল রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ায়, রাজ্য সরকার যে ব্যর্থ, তা তুলে ধরেই এই অনাস্থা আনা হচ্ছে। পাশাপাশি উঠে আসবে সারদা ও নারদ প্রসঙ্গও। আলোচনা হবে শিশু পাচার নিয়েও।
এদিকে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান বলেন, দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর শুধু দল ভাঙানোর খেলায় মেতেছে শাসক দল। গণতন্ত্রের বালাই নেই। এমন অনেক বোর্ড রয়েছে, যেখানে তৃণমূলের কোনও নির্বাচিত প্রতিনিধিই ছিল না, সেই বোর্ডও দখল করে নিয়েছে তৃণমূল। অর্থাৎ নির্বাচনের গুরুত্ব সম্পূর্ণ ভূলুণ্ঠিত এ রাজ্যে। তৃণমূলের এই স্বৈরাচারী মনোভাবের বিরুদ্ধেই আমাদের প্রতিবাদ।