দুই পাড়ার সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চারু মার্কেট, আক্রান্ত পুলিশ, লাঠিচার্জ, নামল র্যাফ
দুই পাড়ার সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল খাস কলকাতার চারু মার্কেট এলাকা। দুই দলের ঝামেলা মেটাতে গিয়ে আক্রান্ত হয় পুলিশও। দু’জন পুলিশকর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন।
দুই পাড়ার সংঘর্ষে আবারও অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল চারু মার্কেট এলাকা। সোমবার রাতের পর মঙ্গলবার দুপুরেও রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় খাস কলকাতার ওই এলাকা। পুলিশ মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে দুই পাড়ার মধ্যে। ইটবৃষ্টি, বোতল ছোড়াছুড়ি চলতে থাকে। শুধু চারু মার্কেট থানা বা টালিগঞ্জ থানা নয়, লালবাজার থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী পাঠানো হয়। নামানো হয় র্যাফ। তারপরই পরিস্থিতি খানিক নিয়ন্ত্রণে আসে।
সোমবার রাতে দুই দলের ঝামেলা মেটাতে গিয়ে আক্রান্ত হয় পুলিশও। দু'জন পুলিশকর্মী গুরুতর জখম হন। এরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। নামানো হয় র্যাফ। এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। সেই থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত আপাত শান্ত ছিল এলাকা। ফের বিকেল গড়াতেই 'যুদ্ধ' শুরু দুই পাড়ার।
একদিকে ঝালদার মাঠের বাসিন্দা, অন্যদিকে ডোমপাড়ার বাসিন্দারা। মদের ঠেক নিয়ে প্রতিবাদ করায় দুই পাড়ার মধ্যে শুরু হয় খণ্ডযুদ্ধ। তারপর পুরনো গণ্ডগোলের জের তো ছিলই। পাথর ছোড়াছুড়ি চলতে থাকে। রেলব্রিজের ওপর থেকে উড়ে আসে বড় বড় পাথর। পাল্টা ইট-বোতল ছোড়া হয় অন্য পাড়া থেকে।
এই অবস্থায় খবর যায় চারু মার্কেট থানায়। চটজলদি এলাকায়া পুলিশ পাঠানো হয়। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এসে আক্রান্ত হয়ে হয় পুলিশকেও। পুলিশকে লক্ষ্য করেই ইটবৃষ্টি শুরু হয়। দুই পুলিশকর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন। এরপর আরও পুলিশ পাঠানো হয়। পরিস্থিতি খানিক নিয়ন্ত্রণে আসে।
তবে মঙ্গলবার চারু মার্কেট এলাকা নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। পুলিশের সামনেই ইট-পাথর বৃষ্টি চলে। এদিন পুলিশ লাঠাচার্জ করতে বাধ্য হয় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে।