শিশু কার জানতে ডিএনএ টেস্ট! চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল পুলিশি জেরায়
মেডিকেল কলেজ থেকে চুরি যাওয়া শিশু উদ্ধার হয়েছে ন’ঘণ্টার মধ্যে। কিন্তু শিশু শনাক্তকরণ নিয়ে বিতর্ক দূর হচ্ছে না। তাই ছ’দিনের শিশুটির ডিএনএ টেস্টের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
কলকাতা, ১৫ মার্চ : মেডিকেল কলেজ থেকে চুরি যাওয়া শিশু উদ্ধার হয়েছে ন'ঘণ্টার মধ্যে। কিন্তু শিশু শনাক্তকরণ নিয়ে বিতর্ক দূর হচ্ছে না। চুরি যাওয়া শিশুটির মা সরস্বতী নস্কর নিজের সন্তানকে শনাক্ত করলেও, অভিযুক্তের দাবি, ওই শিশু তাঁর। তারই জেরে ছ'দিনের শিশুটির ডিএনএ টেস্টের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। ডিএনএ টেস্টেই চূড়ান্ত হবে শিশু কার![বাগমারি থেকে উদ্ধার মেডিকেল থেকে চুরি যাওয়া শিশু, গ্রেফতার সন্দেহভাজন]
এদিকে শিশু চুরির ঘটনার তদন্ত নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে পুলিশি জেরায়। অভিযুক্ত মহিলা চিন্ময়ী বেজকে রাতভর জেরা করা হয়। সেই জেরায় অভিযুক্ত জানায় ওই শিশু তাঁর। ওই শিশুকে তাকে দেওয়া হয়েছে বলেও জানায় চিন্ময়ী। জেরায় উঠে আসে শিশুটির পরিবার চিন্ময়ীর পূর্ব পরিচিত। বাগমারিতে একই জায়গায় বাড়ি। সেই সূত্রে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সরস্বতী ভর্তি হওয়ার পর অবাধ যাতায়াত ছিল চিন্ময়ী বেজের। চিন্ময়ী কোলে ছেলেটিকে দেওয়ার পরই সে সুযোগ বুঝে পালায় বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।[শিশু পাচার থেকে চিকিৎসার দুর্নীতি রুখতে তথ্য সংগ্রহে প্রতিটি থানায় নির্দেশিকা রাজ্যের]
অভিযুক্ত চিন্ময়ী বেজ দাবি করছে, সে সরস্বতী নস্করদের পরিচিত। তাহলে সরস্বতী নস্কর বা তাঁর পরিবারের সদস্যরা কেন দাবি করছেন সবুজ শাড়ি পড়া এক মহিলা শিশুটিকে নিয়ে গেছে? কেন চিন্ময়ী বেজের নাম বলছেন না সরস্বতীরা? তা নিয়েও প্রশ্ন উঠে পড়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করবে সরস্বতী নস্কর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের।[শিশু পাচার থেকে চিকিৎসার দুর্নীতি রুখতে তথ্য সংগ্রহে প্রতিটি থানায় নির্দেশিকা রাজ্যের]
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে টিকা দেওয়ার নাম করে শিশু চুরি করে নিয়ে যায় সবুজ শাড়ি পরিহিতা এক মহিলা। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে রাতের মধ্যেই শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু কেন এই শিশু চুরির ঘটনা তা স্পষ্ট হচ্ছে না। পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরেই এই শিশু চুরি, নাকি এই শিশু চুরির সঙ্গে আয়া-চক্র রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় উঠে আসছে, চিন্ময়ী বেজের এক মাসি শাশুড়ির ভূমিকাও। ঘটনার পর থেকেই ওই মাসি শাশুড়ি বেপাত্তা।[শিশুপাচারকাণ্ডে জুহি-যোগে পদ থেকে অপসারিত হতে পারেন রূপা, ইঙ্গিত দিলীপের]