শহর ছেড়ে নজরে জেলার নার্সিংহোম, মুখ্যমন্ত্রীর সফরে যুক্ত হচ্ছে স্বাস্থ্য বৈঠক
শহর ছেড়ে এবার মুখমন্ত্রীর নজরে জেলার নার্সিংহোমগুলিতে। এবার জেলাতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দেবেন চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবসা বরদাস্ত নয়।
কলকাতা, ২৮ ফেব্রুয়ারি : শহর ছেড়ে এবার মুখমন্ত্রীর নজরে জেলার নার্সিংহোমগুলিতে। এবার জেলাতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দেবেন চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবসা বরদাস্ত নয়। তাই এবার থেকে মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরে যুক্ত হচ্ছে স্বাস্থ্য বৈঠক। সেই বৈঠকে জেলার সমস্ত নার্সিংহোম ও বেসরকারি হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি।[রাজ্য সরকারের তরফে যে অভিযোগগুলি তোলা হয় নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে]
রাজ্যজুড়ে নার্সিংহোম ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে যা চলছে, তা নিয়ে উদ্বগিন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই তিনি কলকাতার টাউন হলের বৈঠক ডেকে শহরের বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোম কর্তাদের কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু শুধু শহরেই নয়, রাজ্যের সর্বত্রই স্বাস্থ্য পরিষেবাকে নিয়ে ব্যবসা করা হচ্ছে। কিন্তু তিনি চান না, রোগীদের নিয়ে ব্যবসা করুন নার্সিংহোম মালিকরা। তাই জেলা সফরে স্বাস্থ্য-বৈঠকে ডেকে নার্সিংহোম মালিকদের তা স্পষ্ট করে দেবেন তিনি।[স্বাস্থ্য পরিষেবায় নজরদারিতে হেলথ রেগুলেটরি কমিশন বিল আনছেন মুখ্যমন্ত্রী]
একেবারে টাউন হলের বৈঠকের ধাঁচেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নার্সিংহোম ও বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইবেন, কেন বারবার তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল ওঠে? কেন চিকিৎসা ব্যবস্থাকে পরিষেবা হিসেবে দেখতে পারছেন না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ? কেন অযথা বিল বৃদ্ধি করে সঙ্কটে ফেলা হচ্ছে মুমূর্ষু রোগীদের পরিবারকে।[মানুষের জীবন নিয়ে ব্যবসা করা যাবে না, নার্সিংহোম কর্তাদের কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর]
মুখ্যমন্ত্রী এই বৈঠকে জানতে চাইবেন, কোন হাসপাতালে বা নার্সিংহোমে কী পরিকাঠামো রয়েছে। গরিবদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য তাঁরা কী পাকেজ রেখেছেন, তা ও জানবেন তিনি। সেইসঙ্গে বার্তা দেবেন, গরিবদের চিকিৎসা দিতেই হবে। কোনওভাবেই গরিবমানুষ চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাবেন, তা তিনি বরদাস্ত করবেন না।
মুখ্যমন্ত্রী বলবেন, রোগীদের স্বার্থ সবার আগে। সেই স্বার্থ মেনেই কাজ করতে হবে। পরিষেবার বালাই নেই, শুধু পকেট কাটার ব্যবস্থা কোনওমতেই মানবে না তাঁর সরকার। প্রতিটি জেলাতেই এবার এই বার্তা তিনি দেবেন নার্সিংহোম কর্তাদের।