ফের রণক্ষেত্র শিক্ষাঙ্গণ! পরীক্ষা চলাকালীন তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ভাঙচুর চারুচন্দ্র কলেজে
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল চারুচন্দ্র কলেজ। পরীক্ষা চলাকালীন কলেজ চত্বরে দফায় দফায় সঙ্ঘর্ষ চলে। ভাঙচুর করা হয় কলেজে।
কলকাতা, ৬ মার্চ : তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল চারুচন্দ্র কলেজ। পরীক্ষা চলাকালীন কলেজ চত্বরে দফায় দফায় সঙ্ঘর্ষ চলে। ভাঙচুর করা হয় কলেজে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অধ্যাপক-পড়ুয়ারা। বহিরাগত তাণ্ডবে শিক্ষাঙ্গণ এতটাই উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে যে, অধ্যক্ষকে পুলিশ পর্যন্ত ডাকতে হয়। কলেজ বাইরে বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট।
কলেজে এই তাণ্ডবের ঘটনায় অভিযোগের তির মন্ত্রী-পুত্র সায়নদেব চট্টোপাধ্যায়ের দিকে। অভিযোগ তিনিই কলেজের বাইরে দাঁড়িয়ে থেকে এই ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। অধ্যক্ষের সঙ্গে হাত মিলিয়েই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে তৃণমূলেরই একটা পক্ষ দাবি করেছে। সায়নদেব চট্টোপাধ্যায়ের সাফাই, তিনি এলাকায় গিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু কোনওভাবেই এই ঘটনায় জড়িত নন। তিনি টিএমসিপি করেন না, তিনি যুব তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী। তাঁর কথায়, রাজ্যের শিক্ষাঙ্গনে যদি বহিরাগত প্রবেশ রুখতে আইন হয়, আমিই হব তার প্রথম সমর্থক।
অভিযোগ, কলেজে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য অধ্যক্ষের কাছে টাকা দাবি করেছিল এক পক্ষ। তার জেরেই এদিন তাণ্ডব চলল কলেজে। এই ঘটনা তৃণমূল পরিষদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই ঘটে বলে অভিযোগ। যে দু'টো গ্রুপের মধ্যে এদিন ঝামেলা বাধে, তারা নিজেদের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সমর্থক বলেই দাবি করে।
এদিন কলেজে একদিকে পরীক্ষা চলছিল, অন্যদিকে চলছিল ভর্তি। তারই মাঝে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের চাঁদার দাবিতে ক্যাম্পেনিং চলছিল একাংশের। তারপরই দু'দল সঙ্ঘর্ষে লিপ্ত হয়ে পড়ে। অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা বলছেন, যাঁরা সঙ্ঘর্ষে লিপ্ত হল, তাদের কিছু ছেলেকে আমরা চিনি, অধিকাংশকেই চিনি না। বহিরাগতরা পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ।
দীর্ঘ একবছর ধরে আইডেন্টি কার্ড পাচ্ছে না বলে সরব হয় পড়ুয়াদের একাংশ। এক্ষেত্রে অভিযোগের তির ছাত্র সংসদের দিকে। দীর্ঘদিন ধরেই নানা কারণে এই কলেজে উত্তাপ ছড়াচ্ছিল। এদিন তা বিস্ফোরিত হয়ে পড়ল। এই তাণ্ডব লীলা থেকে কলেজকে বাঁচাতে পুলিশকে খবর দেন অধ্যক্ষ। পুলিশ আসার আগে অবশ্য কলেজে ভাঙচুর হয়ে যায়। পরীক্ষা চলাকালীন এই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পরীক্ষার্থীরাও।