এবার গৌতমকে হেফাজতে চায় সিবিআই, নজরে মেরুণ ডায়েরি ও সুদীপ-তাপসের দেওয়া তথ্য
সিবিআইয়ের এই চালের পিছনে রয়েছে আরও এক গূঢ় তত্ত্ব। রোজভ্যালির অ্যান্টি চেম্বারের গোপন কুঠুরি থেকে যে মেরুণ ডায়েরি উদ্ধার হয়েছে, তাতে অনেক প্রভাবশালীর নাম রয়েছে।
কলকাতা, ১৩ জানুয়ারি : রোজভ্যালিকাণ্ডে ধৃত তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেল হেফাজতের পর এবার গৌতম কুণ্ডুকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হল। তৃণমূলের দুই সাংসদ তাপস পাল ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য ও মেরুণ ডায়েরি থেকে পাওয়া তথ্য খতিয়ে দেখতেই এই আবেদন বলে জানিয়েছে সিবিআই।[অসুস্থ হয়ে জেল হাসপাতালে সুদীপ, শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, রাখা হয়েছে পর্যবেক্ষণে]
আদালত এই আবেদন মঞ্জুর করলে রোজভ্যালি কর্তাকে ভুবনেশ্বরে নিয়ে গিয়ে জেরা করা হতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, এতদিন পর আবার গৌতম কুণ্ডুকে নিজেদের হেফাজতে কেন? এখনও কী জিজ্ঞাস্য থাকতে পারে সিবিআই আধিকারিকদের? এই প্রশ্নের উত্তরে সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, রোজভ্যালিকাণ্ডে তাপস পাল ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার নতুন অনেক তথ্য উঠে এসেছে সিবিআইয়ের হাতে।
এইসব তথ্য নিয়ে রোজভ্যালি কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুকে পাল্টা জেরার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছে সিবিআই। তা হলে অনেক সত্য উঠে আসবে বলে বিশ্বাস তদন্তকারীদের। তবে শুধু তাপস-সুদীপের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই করতেই নয়, সিবিআইয়ের এই চালের পিছনে রয়েছে আরও এক গূঢ় তত্ত্ব।
রোজভ্যালির অ্যান্টি চেম্বারের গোপন কুঠুরি থেকে যে মেরুণ ডায়েরি উদ্ধার হয়েছে, তাতে অনেক প্রভাবশালীর নাম রয়েছে। এই ডায়েরি গৌতম কুণ্ডু নিজে লিখতেন বলে জানতে পেরেছে সিবিআই। গৌতম কুণ্ডুকে হেফাজতে নিয়ে এই ব্যাপারে সম্যক জানতে চাওয়া হবে। এই প্রভাবশালীদের ভূমিকা কী, তাঁরা কি কোনও চাপ সৃষ্টি করেছেন তাঁকে? তা জানার চেষ্টা চালাবেন তদন্তকারী অফিসাররা।