নারদকাণ্ডে সিবিআই তলব করল সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে
নারদকাণ্ডে পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে তলব করল সিবিআই। সাংসদ সৌগত রায়ের পর সুব্রতবাবুকে তলব করা হল বৃহস্পতিবার।
নারদকাণ্ডে পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে তলব করল সিবিআই। সৌগত রায়ের পর তৃণমূলের আরও বড় মাথার দিকে এবার টান পড়ল নারদ-তদন্তে। তাঁকে বৃহস্পতিবার বেলা একটায় নিজাম প্যালেসে আসতে বলা হয়। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মতো হেভিওয়েট নেতাকে সিবিআই তলব করায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
এর আগে নারদকাণ্ডে সিবিআই জেরা করেছিল তৃণমূল সাংসদ সুলতান আহমেদ ও বিধায়ক ইকবাল আহমেদকে। জেরা করা হয়েছিল আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জাকেও। এরপরই বুধবার তলব করা হয় তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে। তিনি দিল্লিতে থাকার কারণ দেখিয়ে ই-মেল বার্তায় জানিয়ে দেন বুধবার তাঁর পক্ষে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়।
এদিকে সিবিআই-এর পাশাপাশি ইডিও নারদকাণ্ডে সক্রিয় হয়ে ওঠে। ইডির পক্ষ থেকেও তলব করা হয় সুলতান ও ইকবাল আহমেদকে। এরপরই ইডি হাজিরার জন্য তলব করে কলকাতা পুরসভার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। তিনিও প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে জেরা এড়িয়ে যান। এবার তৃণমূলের বড় মাথার দিকে হাত বাড়াল সিবিআই। নারদকাণ্ডে ডাক পড়ল সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের।
হাইকোর্টের নির্দেশের পরই কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই তৎপর হয়ে তলব করতে শুরু করে নারদ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্তদের। তাদের মধ্যে একজন আইপিএস অফিসার ছাড়া বাকিরা সবাই তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী-সাংসদ। একের পর এক তৃণমূল নেতাকে তলব করায় স্বভাবতই তৃণমূল বিপাকে।
সারদা, রোজভ্যালির পর স্বভাবতই নারদ-কাণ্ডে নতুন করে চাপে পড়তে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এখন ইডিও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা দফায় দফায় তৃণমূল নেতাদের তলব করছে। অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের আগে চাপ তৈরি করতেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে তৃণমূল কংগ্রেসের পিছনে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে সিবিআই-ইডিকে।