রাজনৈতিক মিছিলে ফের অবরুদ্ধ কলকাতা, এড়িয়ে চলুন এইসব রাস্তা
২২ মে বামেদের নবান্ন অভিযানে অবরুদ্ধ হয়েছিল কলকাতা। তবে, নবান্ন শহরের বাইরে হওয়ায় কিছুটা হলেও রক্ষা ছিল। কিন্তু, বিজেপি-র লালবাজার অভিযান এক্কেবারে অচল করে দিয়েছে কলকাতার প্রাণকেন্দ্রের যানচলাচলকে।
মাত্র তিনদিনের ব্যবধানে আরও এক মহামিছিলের ঘেরাটোপে শহর কলকাতা। এবার একেবারে শহরের প্রাণকেন্দ্র অবরুদ্ধ। বিজেপি-র লালবাজার অভিযানের জন্য মধ্য কলকাতার ধর্মতলা-বিবাদি বাগ চত্বর দীর্ঘক্ষণ অবরুদ্ধ থাকছে। ফলে শহরের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে এই যানজট ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
তীব্র যানজটের হাত থেকে শহরবাসী ও যাত্রীদের সুরাহা দিতে ট্রাফিকের তরফে বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রথমত হাওড়া থেকে বিজেপি-র র্যালির জন্য ব্র্যাবোর্ন রোড সম্পূর্ণ বন্ধ করা হয়েছে। ফলে হাওড়া থেকে কলকাতার বিভিন্ন এলাকার বাস বা হাওড়া অভিমুখী সমস্ত বাস কিংবা অন্যান্য যানবাহন স্ট্র্যান্ড রোড, পোস্তা, গিরীশ পার্ক ও মহাত্মা গান্ধী রোড দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এক্ষেত্রে যদি মহাত্মা গান্ধী রোডও বন্ধ করতে হয়, তখন গাড়িগুলি ঘুরিয়ে দেওয়া হবে রাজা কাটরা রোড দিয়ে। আর হাওড়া বা হাওড়া শহরতলি থেকে আসা সমস্ত গাড়িগুলিকে (প্রাইভেট কার ও বাস) এদিন বিদ্যাসাগর সেতু ব্যবহার করতে নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
বিজেপির দ্বিতীয় র্যালি শুরু হওয়ার কথা কলেজ স্ট্রিট থেকে। ফলে এদিকে সমস্ত বাস বা যানবাহন লেনিন সরণি, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, এমজি রোড ও স্ট্র্যান্ড রোড দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রেও মহাত্মা গান্ধী রোড বন্ধ হয়ে গেলে ট্রাফিকের ভরসা রাজা কাটরা রোড।
আর তৃতীয় র্যালির ক্ষেত্রে ট্রাফিক সামলানোর জন্য লেনিন সরণি ও সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। আপাতত এই ব্যবস্থার উপরই ভরসা রেখে ট্রাফিক পুলিশ এগোচ্ছে। শহরের প্রাণকেন্দ্র অবরুদ্ধ হয়ে গেলে বাকি অংশও যে স্তব্ধ হয়ে যাবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ফলে বৃহস্পতিবার সারাদিন নাস্তানাবুদ হতে হবে যাত্রী-সাধারণকে।