লক্ষ্য পঞ্চায়েত-যুদ্ধে তৃণমূলকে মাত দেওয়া, বুদ্ধিজীবী সমাবেশের ডাক বিজেপির
অমিত শাহ রাজ্যে এসে বুদ্ধিজীবী সমাজের সঙ্গে বৈঠক করে গিয়েছিলেন। পঞ্চায়েতে তাঁদের প্রার্থী করেই বিজেপি এগোতে চায় বলে এমন বার্তাও দিয়েছিলেন তিনি। এবার সেই বার্তা মতোই রাজ্য নেতৃত্বের উদ্যোগ।
বুদ্ধিজীবী শিক্ষিত সমাজকে মুখ করেই পঞ্চায়েত যুদ্ধে বাজিমাত করতে চাইছে বিজেপি। গত এপ্রিল মাসে রাজ্য সফরে এসে যে পথ দেখিয়ে গিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ, সেই পথকে ফের শাণিত করতে উদ্যোগী হল রাজ্য নেতৃত্ব। আগামী ১৬ আগস্ট রাজ্যের বুদ্ধিজীবী সমাজের সঙ্গে বৈঠক ডাকল বিজেপি।
অমিত শাহ রাজ্যে এসে বুদ্ধিজীবী সমাজের সঙ্গে বৈঠক করে গিয়েছিলেন। পঞ্চায়েতে তাঁদের প্রার্থী করেই বিজেপি এগোতে চায় বলে এমন বার্তাও দিয়েছিলেন তিনি। এবার সেই বার্তা মতোই রাজ্যে নেতৃত্ব দ্বিতীয়বার বুদ্ধিজীবী সমাবেশের ডেকে দিল। এবার বিজেপির বুদ্ধিজীবী সংগঠনের কারা প্রার্থী হতে উৎসাহী, তাঁদের তালিকা চূড়ান্ত করে ফেলতে চাইছে রাজ্য নেতৃত্ব। সেইসঙ্গে বুদ্ধিজীবীদের পরামর্শও নেবে তাঁরা।
জানা গিয়েছে, আগামী ১৬ আগস্ট এই বৈঠকে থাকতে পারেন বিজেপি-র কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। অমিত শাহের উপস্থিতিতে প্রথম বুদ্ধিজীবী বৈঠক ছিল একপ্রকার ফ্লপ শো। এবার সেই বদনাম ঘোচাতে তৎপর দিলীপ ঘোষরা। তাঁরা চান, এবার বুদ্ধিজীবী সমাবেশে রাজ্যের শাসক শিবিরকে তাক লাগিয়ে দিতে।
বিজেপি মনে করছে, রাজ্যে বর্তমানে অরাজকতা চলছে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষিত সম্প্রদায় অত্যন্ত বিরক্ত। সেই বিরক্তি কাজে লাগিয়ে সবাইকে বিজেপিমুখো করাই প্রধান উদ্দেশ্য দিলীপবাবুদের। সেই কারণেই এলাকাভিত্তিক নেতৃত্বকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শিক্ষিত বুদ্ধিজীবী সমাজের মানুষের তালিকা দিতে। সেই তালিকা নিয়ে পঞ্চায়েত যুদ্ধে নামতে চাইছে বিজেপি।
গ্রামে এখনও বিজেপি-র সে অর্থে কোনও সংগঠন নেই, যা দিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই করা যায়। সেই কারণেই শিক্ষিত-বুদ্ধিজীবীদের দলে এনে সংগঠন মজবুত করার পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপি। প্রয়োজনে তাঁদের পঞ্চায়েত প্রার্থী করে তৃণমূল শিবিরকে চমকে দিতে প্রস্তুত দিলীপ ব্রিগেড।