অত্যাধুনিক হয়ে ফিরল বিড়লা তারামণ্ডল, কলকাতাবাসীকে উৎসর্গ মমতার
২৮ মাস বন্ধ থাকার পর নবরূপে আত্মপ্রকাশ করল বিড়লা তারামণ্ডল। তারামণ্ডলে রয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রায় ২৮ মাস পর নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ ঘটল তিলোত্তমার ক্যানভাসের অন্যতম আইকল বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়ামের। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার কাজের পর মঙ্গলবার নবকলেবরে বিড়লা তারামণ্ডলের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধুমাত্র বাইরের ভোলবদলই নয়, প্রযুক্তিগতভাবেও আরও অনেক উন্নত হয়েছে বিড়লা তারামণ্ডল।
১৯৬৩ সাল থেকে পথ চলা শুরু। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর হাত ধরেই সূচনা হয়েছিল কলকাতার অন্যতম পরিচয় বিড়লা তারামণ্ডলের। দীর্ঘ ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে মহাকাশ বিজ্ঞান ও জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের অন্যতম আখরা এই তারামণ্ডল। সেইসঙ্গে শহরের অন্যতম পর্যটনস্থলও। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বয়সের ছাপ স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল বিড়লা তারামণ্ডলের গায়ে। সেইসঙ্গে প্রয়োজন ছিল প্রযুক্তির উন্নয়নেরও। সেকারণেই প্রায় ২৮ মাস ধরে সংস্কার কাজ চালানো হয়। সংস্কার কাজ শেষে মঙ্গলবার দুপুরে তারামণ্ডলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন বিড়লা গোষ্ঠীর কর্ণধার হর্ষ লোধাও। খুব শীঘ্রই অত্যাধুনিক তারামণ্ডল বিশ্বের পর্যটন মানচিত্রে জায়গা করে নেবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিড়লা
তারামণ্ডলে
নতুন
কী
থাকছে
তারামণ্ডল
কর্তৃপক্ষ
জানাচ্ছে,
পুরনো
প্রোজেক্টরগুলি
বদলে
অত্যাধুনিক
৯টি
প্রোজেক্টর
বসানো
হয়েছে।
এই
প্রোজেক্টরের
সাহায্যে
মহাকাশকে
আরও
নিখুঁতভাবে
দেখতে
পাবেন
দর্শকরা।
এছাড়াও
খালি
চোখে
রাতের
আকাশ
দেখতে
দেখতে
ডিজিটাল
প্রোজেকশনের
ব্যবস্থা
করা
হয়েছে।
আরও
উন্নতমানের
করা
হয়েছে
অডিটোরিয়াম
ও
লাইব্রেরি।
বাড়ানো
হয়েছে
আসন
সংখ্যাও।
আগামী দিনে নতুন রূপে তারামণ্ডল আরও বেশি মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়াবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেও সাধারণ মানুষের জন্য বিড়লা তারামণ্ডল খুলে দেওয়া হবে ২২ জুলাই থেকে।