আদালতে হাজিরা এড়িয়ে সিবিআই-তোপে গুরুংরা, হতে পারেন গ্রেফতারও
বিমল গুরুং-রা আদালতের নির্দেশ এড়িয়ে আরও বড়সড় বিপদের মুখে পড়তে চলেছেন। রাজ্য প্রশাসন তো মোর্চা নেতাদের বিরুদ্ধে চাপ বাড়াচ্ছিলই, এবার চাপ বাড়াল কেন্রীতেয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইও।
মদন তামাং হত্যা মামলায় আদালতে হাজিরা এড়িয়ে আরও বিপাকে পড়তে চলেছেন বিমল গুরুং-সহ ২২ মোর্চা নেতা-নেত্রী। এবার তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার আবেদন জানাল সিবিআই। সোমবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইয়ের তরফে নগর ও দায়রা আদালতে ২২ মোর্চা নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার আবেদন জানানো হয়।
এদিনই মদন তামাং হত্যা মামলা অভিযুক্ত ২৬ জনকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই অভিযুক্তদের নোটিশও পাঠিয়েছিল হাইকোর্টে হাজিরা দেওয়ার জন্যও। তারপরও জন আন্দোলন পার্টির নেতা হরকা বাহাদুর ছেত্রী-সহ চার জন অভিযুক্ত ছাড়া কেউ এদিন কলকাতা হাইকোর্টে হাজিরা দেননি।
বিমল গুরুং, তাঁর স্ত্রী আশা গুরুং, রোশন গিরি, বিনয় তামাং-সহ প্রথম সারিরে মোর্চা নেতারা যে হাইকোর্টের ডাকে সাড়া দিয়ে কলকাতায় আসবেন না, তা খানিক আন্দাজ করাই গিয়েছিল রবিবার। কেননা মোর্চার তরফে এই তলবের পিছনে গ্রেফতারির ফাঁদ রয়েছে বলে মনে করছিল তাঁরা। তাঁদের আশঙ্কা ছিল, কোনও অছিলায় তাঁদের কলকাতায় নিয়ে গিয়ে গ্রেফতার করা হতে পারে। তাহলেই পাহাড়ের আন্দোলন স্তব্ধ করে দেওয়া যাবে।
এদিকে বিমল গুরুং-রা আদালতের নির্দেশ এড়িয়ে আরও বড়সড় বিপদের মুখে পড়তে চলেছেন। রাজ্য প্রশাসন তো মোর্চা নেতাদের বিরুদ্ধে চাপ বাড়াচ্ছিলই, এবার চাপ বাড়াল কেন্রীাজয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইও। হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করার জন্য ২২ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হল। ফলে গ্রেফতারির আশঙ্কায় হাজিরা এড়ালেও আরও প্রকট হল মোর্চা নেতাদের সংকট।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ২১ মে দার্জিলিংয়ে প্রকাশ্য রাস্তায় গলা কেটে খুন করা হয়েছিল গোর্খা লিগ সভাপতি মজন তামাংকে। সেই হত্যাকাণ্ডে নাম জড়ায় বিমল গুরুংদের। ২৬ জন মোর্চা নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। সেই তালিকায় নাম ছিল তৎকালীন মোর্চা নেতা হরকা বাহাদুর ছেত্রীর। তিনি এখন মোর্চা ত্যাগ করে পৃথক দল গড়েছেন। হাইকোর্টের নির্দেশে নগর ও দায়রা আদালতে এই মামলা শুরু হওয়ার পর ফের যে কোনও দিন নতুন করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হতে পারে।