হোটেলে তরুণীকে ধর্ষণের পর মুখ বন্ধ রাখতে টাকার প্রলোভন দেখায় চিত্তরঞ্জন!
বেনিয়াপুকুর হোটেলে ডেকে তরুণীকে ধর্ষণের পর মুখ বন্ধ রাখতে টাকার প্রলোভনও দেখানো হয়েছিল। এ জন্য চাপ সৃষ্টি করেছিল মূল অভিযুক্ত চিত্তরঞ্জন পাত্র-সহ চারজনই।
কলকাতা, ২৭ অক্টোবর : বেনিয়াপুকুর হোটেলে ডেকে তরুণীকে ধর্ষণের পর মুখ বন্ধ রাখতে টাকার প্রলোভনও দেখানো হয়েছিল। এ জন্য চাপ সৃষ্টি করেছিল মূল অভিযুক্ত চিত্তরঞ্জন পাত্র-সহ চারজনই। নিগৃহীতা তরুণী পুলিশের কাছে এই অভিযোগও জানিয়েছে। অভিযুক্তদের কথায় রাজি হওয়ার পরই ছাড়া পান তিনি। তারপর হোটেল থেকে ছুটে বেরিয়ে যান।
সেই সময়ে হোটেলে রিসেপশনে অভিযোগ জানানোর মতো মন ও শরীরের অবস্থা তাঁর ছিল না, স্বীকারোক্তি নিগৃহীতার। বৃহস্পতিবার রাতেই বেনিয়াপুকুর থানার পুলিশ বটতলা থানা এলাকা থেকে চারজনকে গ্রেফতার করে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্ত চারজনকে শনাক্ত করে পুলিশ। শুক্রবার তাদের আদালতে তোলা হয়। পুলিশ হেফাজতে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এদিনই নিগৃহীতা তরুণী গোপন জবানবন্দি দেন আদালতে।
বুধবার চাকরির ইন্টারভিউয়ের নেওয়ার নাম করে বেনিয়াপুকুরের একটি হোটেলের ঘরে ডেকে তরুণীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরের তরুণীর সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় ওই চিত্তরঞ্জনের। তারপর আলাপচারিতায় চিত্তরঞ্জনকে চাকরির দরকার বলে জানিয়েছিল তরুণী।
সেই সুযোগটাই কাজে লাগায় চিত্তরঞ্জন। বেনিয়াপুকুরে হোটেল ভাড়া করে ফাঁদ পাতে সে। সেইমতো ইন্টারভিউয়ের টোপ দিয়ে বেনিয়াপুকুরে হোটেলে ডেকে পাঠায় তরুণীকে। তারপর রাতভর তাঁকে হোটেলের ঘরে আটকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।