জঙ্গিহানা ঠেকাতে সুন্দরবনকে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ছে রাজ্য সরকার
কলকাতা, ৬ মে : শুধু বাঘ, কুমীর বা ম্যানগ্রোভই সুন্দরবনের একমাত্র পরিচয় নয়। রাজ্যের দক্ষিণে উপকূলবর্তী এই এলাকা অপরাধীদেরও একেবারে স্বর্গরাজ্য। স্মাগলার, চোরাচালান, চোরাশিকার কোনওকিছুই বাদ যায় না এখানে।
দুর্গম এই এলাকা প্রতিবেশী বাংলাদেশের লাগোয়া। বলা ভালো একেবারে পাশাপাশি। সুন্দরবনের কিছুটা অংশ এদেশে থাকলেও বড় অংশটাই বাংলাদেশের ভাগে পড়েছে।
বিশ্বের বৃহত্তম ব-দ্বীপ এই সুন্দরবনের নিরাপত্তা নিয়েই এবার রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য সরকার। ২০০৮ সালে জলসীমান্তকে ব্যবহার করেই মুম্বইয়ে এসে জঙ্গিহানা চালায় পাকিস্তানি জঙ্গিরা। সেই মর্মান্তিক ঘটনায় বহু নিরীহ ভারতীয়র পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকেরা প্রাণ হারান।
সেই ঘটনাকে মাথায় রেখেই সন্ত্রাসবাদী হামলা ঠেকাতে সুন্দরবনকে বিশেষ নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলতে উদ্যোগী হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকার। এর পাশাপাশি স্থানীন চোরাশিকার, অপরাধ ঠেকাতেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, সুন্দরবনের ১০৪ টি দ্বীপকে 'অ্যাডভান্স সিকিউরিটি মেকানিজম'-এর আওতায় এনে সুরক্ষার চাদরে মুড়ে ফেলা হবে। এবিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে ইতিমধ্যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র থেকে প্রাথমিকভাবে এব্যাপারে সবুজ সঙ্কেতও দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর জন্য মোট খরচ হবে আনুমানিক ১৫০ কোটি টাকা।
উপকূলরক্ষী বাহিনী, নৌবাহিনী ও বিএসএফ-এর ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা থাকবে এই উপকূলবর্তী এলাকায়। বিশ্বের বৃহত্তম ব-দ্বীপ এলাকায় গঙ্গা, পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা নদী এসে মিশেছে। প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি বড় প্রযুক্তি সংস্থার সঙ্গে কথা হয়ে গিয়েছে রাজ্য সরকারের। এখন কেন্দ্রের সম্মতি পেলেই কাজ শুরু করবে নবান্ন।