অ্যাপেল ঘড়ি-মন্ট ব্লাঁ পেন বিতর্কে চাকরি খাওয়ার হুমকি সাংসদ ঋতব্রত-র
ঘোর বিতর্কে সিপিএমের রাজ্যসভার তরুণ সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। অ-কমিউনিস্ট সুলভ আচরণ করে নিজেও বিপাকে পড়েছেন, সমস্যার ফেলেছেন দলকে।
কলকাতা, ২০ ফেব্রুয়ারি : ঘোর বিতর্কে সিপিএমের রাজ্যসভার তরুণ সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। অ-কমিউনিস্ট সুলভ আচরণ করে নিজেও বিপাকে পড়েছেন, সমস্যার ফেলেছেন দলকে। এই অবস্থায় সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি তাঁর বিরুদ্ধে অবিলম্বে রাজ্য কমিটিকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
ঋতব্রতর আচরণে চরম ক্ষুব্ধ রাজ্য কমিটি ও পলিটব্যুরোও। এই অবস্থায় ঋতব্রতর কাছে কৈফিয়ৎ চাওয়া হবে- কেন ঋতব্রতর এই আচরণ? কেন চাকরি খেয়ে নেওয়ার হুমকি তাঁর মুখে? যথাযথ জবাব মিলছে না সিপিএমের তরুণ সংসদের মুখ থেকেও। তিনি জানিয়েছেন, পার্টির চিঠি পেলেই তিনি জবাব দেবেন। এখনও কোনও চিঠি তিনি হাতে পাননি।
ঘটনার সূ্ত্রপাত শিলিগুড়িতে ডার্বি ম্যাচ দেখতে গিয়ে। সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ দলীয় অনুগামী পরিবেষ্টিত হয়ে ডার্বি মাচ দেখতে গিয়েছিলেন। সেখানে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বিপুল উৎসাহে ছবি তোলেন। সেই ছবিই ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে। ছবিতে তাঁর হাতে দেখা যায় দামী অ্যাপেল ঘড়ি, পকেটে দামী মন্ট ব্লাঁ পেন। প্রশ্ন উঠে পড়ে, বামপন্থী মতাদর্শ যাঁর পাথেয়, তিনি কেন এমন বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন?
বেঙ্গালুরুর তথ্যপ্রযুক্তির এক কর্মী এই প্রশ্ন তোলেন। এই পর্যন্ত ঠিকঠাক ছিল সবকিছুই। কিন্তু ওই তথ্য-প্রযুক্তি কর্মীর সমলোচনার উত্তর দিতে গিয়ে সাঙ্ঘাতিক কাজটা করে বসেন ঋতব্রত। তিনি সবক শেখান ওই তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীকে চাকরি থেকে সরাতে তাঁর সংস্থায় ফোন করে। এই ঘটনায় সমালোচনার ঝড় ওঠে। একজন কমিউন্সিট নেতার এহেন মনোভাব সমর্ন করেনি দলও।
ইয়েচুরি ইতিমধ্যেই রাজ্য কমিটিকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নিতে চলেছে রাজ্য কমিটি। এই ঘটনায় সিপিএমের লোকসভার সাংসদ মহম্মদ সেলিম বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যক্তিগত মত প্রকাশ যে কেউ করতে পারে। তা বলে তার চাকরি কেড়ে নেওয়ার হুমকি সমর্থনযেগ্য নয়। পার্টির সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, দলের তরফে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন সিপিএমে এই স্পর্ধা মেনে নেওয়া হবে না। ভুল হলে তা শুধরে নিতে হবে অবিলম্বে।