বাগুইআটির স্কুল গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় প্রোমোটারের সঙ্গে যোগসাজোশে সাসপেন্ড এসআই
বাগুইআটির স্কুল গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় প্রোমোটারের সঙ্গে যোগসাজোশের অভিযোগে সাসপেন্ড হলেন এসআই তমাল সরকার। অভিযোগ, বাগুইআটি থানার ওই এসআই-এর পরোক্ষ মদত ছিল ভাঙচুরকাণ্ডে।
কলকাতা, ২২ ফেব্রুয়ারি : বাগুইআটির স্কুল গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় প্রোমোটারের সঙ্গে যোগসাজোশের অভিযোগে সাসপেন্ড হলেন এসআই তমাল সরকার। অভিযোগ, বাগুইআটি থানার ওই এসআই-এর পরোক্ষ মদত ছিল ভাঙচুরকাণ্ডে। তাঁর আশ্বাসেই প্রোমোটার গুন্ডা লাগিয়ে রাতারাতি স্কুল ভাঙার কাজে নেমে পড়েছিল।[বাগুইআটির স্কুল গড়তে ৫ লক্ষ টাকা অনুদান ঘোষণা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের, সাতদিন ছুটি]
শনিবার সকালে বাগুইআটির বেসরকারি স্কুলে ভাঙচুরের ঘটনার অদ্যাবধি পরেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত প্রোমোটার মিজানুর রহমানকে। সেই মিজানুরের মোবাইল কললিস্ট ট্র্যাক করেই তদন্তকারীদের চক্ষু চরকগাছ। দেখা যায় বাগুইআটি থানার সাব ইন্সপেক্টর তমাল সরকারকে বহুবার ফোন করেছে মিজানুর। দীর্ঘক্ষণ তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে।[রাতারাতি গুন্ডা লাগিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল স্কুল, প্রোমোটারি থাবায় অনিশ্চিত পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ]
স্বাভাবিকভাবেই তদন্তকারীদের ধারণা, ওই সাব ইন্সপেক্টর বাগুইআটির স্কুল ভাঙচুরের ঘটনা পুরোটাই জানতেই। তাঁর বলেই ওই প্রোমোটার বলীয়ান ছিল বলেও মনে করছেন তদন্তকারীরা। মিজানুরের লোকজন স্কলের প্রধানশিক্ষককে রাস্তায় ফেলে মারধরের সময় হুমকি দিয়েছি, প্রশাসন তাদের পকেটে। থানায় জানিয়ে কিছুই হবে না। তা থেকেও এই ধারণায় উপনীত হওয়া যায়, মিজানুরের সঙ্গে এসআই তমাল সরকারের যোগসাজোশ ছিল।
এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসায় মঙ্গলবার রাতেই ওই এসআইকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী দু'দিন আগেই জানিয়েছেন, কোনওভাবেই স্কুল ভাঙচুরের ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। তারপরই জোর কদমে তদন্তে নামেন তদন্তকারীরা। স্কুলের পঠনপাঠন শুরুর উদ্যোগের পাশাপাশি নতুন করে স্কুল বিল্লিডং তৈরির পরিকল্পনাও নেওয়া হয়।