এক অটো পঁচিশ সওয়ারি, দুর্ভোগের অটোযাত্রা অব্যাহত
এক অটো, পঁচিশ সওয়ারি।শুনলে, অবাক লাগারই কথা। কিন্তু এটাই সত্যি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এইভাবেই বেআইনি পরিবহন চলছে শহরতলির বিস্তীর্ণ এলাকায়।
এক অটো, পঁচিশ সওয়ারি।শুনলে, অবাক লাগারই কথা। কিন্তু এটাই সত্যি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এইভাবেই বেআইনি পরিবহন চলছে শহরতলির বিস্তীর্ণ এলাকায়। সে জাতীয় সড়ক হোক বা রাজ্য সড়ক। সর্বত্রই রাস্তার দখল নিয়েছে, অটোরিকশা ও ম্যাজিক গাড়ি। এই অবৈধ অটোরাজের দাপটে নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় যাত্রী সাধারণের।
বিশেষ করে হাওড়া জেলার গ্রামীণ এলাকার রাস্তাঘাটে বাসের অভাবে অটোর রাজত্ব চলছে। নাগাড়ে বেআইনি অটোর দাপাদাপি। অধিকাংশ আবার নম্বরহীন। হাই কোর্টের নির্দেশ মানেনি অটোচালকরা। নামেনি ফোরস্টোক অটো। পেট্রোল বা ডিজেলচালিত অটোগুলি পরিবর্তিত হয়নি এলপিজি গ্যাসেও। সকাল থেকে সন্ধ্যা রাস্তায় রাজত্ব চালিয়ে রাত গড়ালেই আবার অন্য রূপ অটোচালকদের।
যত রাত বাড়ে অটোর 'মিটার' উঠতেই থাকে। টাকা ফেলুন, তবেই অটো ছাড়বে। বাম আমল থেকে অটোর এই দৌরাত্ম্য আজও চলছে সমানে। রুটে বাস কমেছে, অটোই হয়ে গিয়েছে একামাত্র পরিবহণ-ভরসা। তাই অনেক অসুবিধা সহ্য করে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভিড় অটোতে পরিবহন করেন সাধারণ যাত্রীরা। যাত্রীদের অভিযোগ, প্রশাসন-রাজনৈতিক নেতা-অটো ইউনিয়নের মধ্যে এক অশুভ আঁতাত রয়েছে।
উলুবেড়িয়া-৫৮ গেট, ১৬ কিলোমিটার অটোরুট। প্রায় দেড়শো অটোরিকশা ও ম্যাজিক গাড়ি চলে। ডিজেল চালিত অটোগুলিতে আসন সংখ্যা ১০। কিন্তু জোর করে ১৩ জন যাত্রী বসানো হয় অটোগুলিতে। তারপরও চার-পাঁচজন যাত্রী অটোর রড ধরে ঝুলতে থাকে। রাতের দিকে সেই সংখ্যাটা দাঁড়ায় ১০-১২ জনে। যাত্রী দিয়েই ঢাকা অটো। দুর্ভোগের অটোযাত্রায় সর্বদাই রয়ে যায় জীবনের ঝুঁকি।
ছ'নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে উলুবেড়িয়া-রানিহাটি, বাগনান-পানিত্রাস অটোরুটেও এই দৃশ্যের দেখা মিলবে। বাগনান থেকে মানকুর, বাকসি থেকে বাইনান, উলুবেড়িয়া থেকে বড়জোড়া, কুলগাছিয়া বা ধূলাগড়, সাঁকরাইলের অটোরুটগুলিতেও এই ঝুঁকির পরিবহণ চলে আসছে বছরের পর বছর ধরে। প্রায়শই বড়-ছোট দুর্ঘটনা লেগে থাকে। যাত্রী হতাহত হন। তবু নিষেধাজ্ঞার বালাই নেই।