অগ্রহায়ণের শুরুতেই বাংলায় শীতের আগমনী, ১০ বছরে রেকর্ড ঠান্ডা
প্রথম থেকেই চালিয়ে খেলতে শুরু করেছে শীত। সবেমাত্র বর্ষার ভিজে পিচে আগমনী ঘটেছে, এরই মধ্যে আমলকীর ডালে ডালে নাচন লাগিয়ে দিয়েছে শীতের এই ঝোড়ো ব্যাটিং। অগ্রহায়ণের প্রথম থেকেই বঙ্গে শীত বেশ জাঁকিয়েই বসে
কলকাতা, ১৮ নভেম্বর : প্রথম থেকেই চালিয়ে খেলতে শুরু করেছে শীত। সবেমাত্র বর্ষার ভিজে পিচে আগমনী ঘটেছে, এরই মধ্যে আমলকীর ডালে ডালে নাচন লাগিয়ে দিয়েছে শীতের এই ঝোড়ো ব্যাটিং। অগ্রহায়ণের প্রথম থেকেই বঙ্গে শীত বেশ জাঁকিয়েই বসেছে। বৃহস্পতিবার আলিপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তাই বিগত দশবছরের নিরিখে রেকর্ড গড়ে ফেলল।
এ রাজ্যে বরাবরই শীত একটু দেরি করেই আসে। আসবে আসবে করে উত্তুরে হাওয়া বারবার বাধাপ্রাপ্ত হয়। শীতের আমেজ থাকলেও লেপ-কাঁথা তোলাই থাকে অগ্রহায়ণ মাসের অন্তত মাঝ সময় পর্যন্ত। কিন্তু এবার অগ্রহায়ণ মাস পড়তেই হেমন্তের হিমেল হাওয়ায় মিশেছে শীতের উত্তরে হাওয়ার আবেশ। তাই অগ্রহায়ণের প্রথমেই পৌষের রোদমাখা দিন যেন ফিরে ফিরে আসছে প্রতিদিন।
এবার নভেম্বরের চিত্রটা একেবারেই অন্যরকম৷ বৃহস্পতিবার রাত থেকেই অনুভূত হয়েছে রেকর্ড ঠান্ডার আমেজ। সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও নেমেছে ১৭-তে। আজও সকাল থেকে কুয়াশার চাদরে মোড়া বাংলায় বেশ ঠান্ডা। আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়ে দিয়েছে, আপাতত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রির আশেপাশেই ঘুরবে। আকাশ পরিষ্কার থাকবে। ফলে রাতের দিকে বাড়বে ঠান্ডা।
হাওয়া অফিস সূত্রে জানানো হয়েছে, গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবারের তাপমাত্রা গত দশ বছরে রেকর্ড কম ছিল শহরে৷ বিগত দশ বছরের মধ্যে ১ অগ্রহায়ণ বাংলার হাওয়ায় নামেনি এতটা পারদ। কলকাতার তাপমাত্র যেমন ছিল ১৭ ডিগ্রির নীচে, তেমনি বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করেছে ১৩-১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।
কিন্তু অগ্রহায়ণের পয়লা থেকেই কেন এক শীত অনুভূত বাংলায়। আবহবিদদের মতে, উত্তর ভারতের শৈত্যপ্রবাহের ফলেই, বাংলাক আকাশে এবার এত তাড়াতাড়ি শীতের আগমন ঘটেছে। এখনও পুরোপুরি শীত আসেনি। তবে এই শীতের আমেজের মধ্যেই উত্তরে হাওয়া পুরোপুরি প্রবেশ করে যাবে বাংলায়। ফলে শীতের ধারা এখন চলতেই থাকবে। আপাতত তিনদিন এইরকম আবহাওয়াই বজায় থাকবে।