পাহাড় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে খোলা চিঠি, কী পরামর্শ দিলেন সিপিএমের প্রাক্তন মন্ত্রী
জিটিএ চুক্তিতেই ছিল— কোনওরকম সমস্যা হলেই আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধান করা হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে দেখা গেল পুরো উল্টো চিত্র। জিটিএ-কে কাজ করতে দেওয়াই হয়নি স্বাধীনভাবে।
পাহাড় ইস্যুতে এবার রাজ্যকে ঝাঁঝালো আক্রমণ প্রাক্তন পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রীর। সোমবার পাহাড় সমস্যার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করে চিঠি লেখেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, জিটিএকে কাজ করতে দিলে আজ পাহাড়ের এই পরিস্থিতি তৈরি হত না। এই পরিস্থিতিতে পাহাড় সমস্যা সমাধানে মধ্যস্থতা চেয়ে কেন্দ্রকে অবিলম্বে চিঠি দিক রাজ্য।
সোমবার বিধানসভায় এসে অশোক ভট্টাচার্য পাহাড় সমস্যা সমাধানে মুখ্যমন্ত্রীকে পরামর্শ দেন। পরামর্শ দিয়ে চিঠি লেখেন। বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের সাহায্য নেওয়া জরুরি। এ ব্যাপারে রাজ্য উদ্যোগ না নিলে কেন্দ্র এগিয়ে আসবে না। তাই রাজ্যকেই অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। একমাত্র ত্রিপাক্ষিক বৈঠকই পারে পরিস্থিতিকে দ্রুত স্বাভাবিক করতে।
এদিন তিনি বলেন, জিটিএ চুক্তিতেই ছিল- কোনওরকম সমস্যা হলেই আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধান করা হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে দেখা গেল পুরো উল্টো চিত্র। জিটিএ-কে কাজ করতে দেওয়াই হয়নি স্বাধীনভাবে। তার কুপ্রভাব পড়েছে পাহাড়ে। অসহিষ্ণুতা বেড়েছে মোর্চা নেতৃত্বের। মুখ্যমন্ত্রী যদি জিটিএকে কাজ করতে দিতেন, এত বড় সমস্যা তৈরি হত না।
অশোকবাবুর অভিযোগ জিটিএ চুক্তি অমান্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রীই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখে আলোচনার কথা বললেও, আলোচনার কোনও উদ্যোগই নিচ্ছেন না। এ প্রসঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দেন, বাম আমলে দার্জিলিং গোর্খা হিল কাউন্সিল কিন্তু ২০ বছর চলেছিল। কিন্তু জিটিএ তো পাঁচ বছরেই ভেঙে খান খান হয়ে গেল!
এদিন নাম না করে তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পালেরও কঠোর সমালোচনা করেন অশোক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, তিন মোর্চা বিধায়কের সঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক যে ব্যবহার করেছেন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিন তা গণতন্ত্রের পক্ষে ভালো দৃষ্টান্ত নয়। পাহাড়ে এ জন্য খারাপ বার্তা গিয়েছে। পরিস্থিতি দিন দিন আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে তাঁর দাবি।