জিএসটির সমর্থনে রাজ্যে প্রচারে অরুণ জেটলি, কেন এই কৌশল বিজেপির
নোট বন্দি থেকে শিক্ষা নিয়ে জিএসটি ইস্যুতে তৃণমূলকে ফাঁকা জমি দিতে চাইছে না বিজেপি। তাই একেবারে কোমর বেঁধেই প্রচারে নামছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
নোট-বন্দি ইস্যুতে বিজেপি-র বাড়া ভাতে ছাই দিয়েছিল তৃণমূল। একা কাঁধে দেশজুড়ে আন্দোলনের জোয়ার বইয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার জিএসটি ইস্যুতেও ইতিমধ্যে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে তৃণমূল। কিন্তু বিজেপি এবার তৃণমূলকে ফাঁকা জমি দিতে নারাজ। সেই কারণেই তড়িঘড়ি বাংলায় আসছেন অরুণ জেটলি-সহ কেন্দ্রীয় নেতারা। তাঁরা জিএসটির সমর্থনে প্রচার চালাবেন।
রাজ্য বিজেপি সূত্রে জানানো হয়েছে, জিএসটি নিয়ে বণিক সভার একটি আলোচনা সভায় যোগ দিতে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বাংলায় আসতে পারেন। সেইসঙ্গে বাংলায় আসতে পারেন আরও অনেক কেন্দ্রীয় নেতাও। এখন প্রায় সমস্ত বিজেপি বিরোধী আন্দোলনই সংঘটিত হচ্ছে বাংলা থেকে। সেই ধারা রুখতেই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিতে চাইছে বিজেপি। তাই বিজেপিও জিএসটির সমর্থন প্রতার চালাতে তৈরি হচ্ছে।
খবরে প্রকাশ, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বণিক সভার একটি বিশেষ আলোচনায় যোগ দিতে কলকাতায় আসছেন। এই সফরে তিনি কলকাতার ব্যবসায়ী মহলের সঙ্গেও একটি বৈঠক করতে পারেন। জিএসটি নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিতে পারেন তিনি। মোট কথা জিএসটি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তাঁর দলের সদস্যরা যাতে আন্দোলনে নেমে ফায়দা তুলতে না পারেন, সে ব্যাপারে সাবধানী পদক্ষেপ নিচ্ছে বিজেপি।
এমনকী অরুণ জেটলি নবান্নে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করতে পারেন। জিএসটি-র সুদূরপ্রসারী ফল পাবে রাজ্য তথা দেশ। তা নিয়ে অযথা সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের কাছে অন্য বার্তা যাক চান না তিনি। অরুণ জেটলি সেই কথাই তুলে ধরবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে। জিএসটি বিরোধী আন্দোলনে বিরত থাকার অনুরোধও করবেন তিনি।
বিজেপি জানিয়েছে, কেন্দ্রের আরও পাঁচমন্ত্রী জিএসটি নিয়ে আলোচনায় যোগ দিতে রাজ্যে আসতে পারেন। শুধু আলোচনা সভাতেই যোগ দেওয়া নয়, রাজ্যে জিএসটি নিয়ে প্রচারও চালাবেন বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতারা। বিজেপি সূত্রে খবর, অর্জুন রাম মেঘওয়াল, জয়ন্ত সিনহা, অনন্ত গিতে, অনন্ত কুমার, গিরিরাজ সিং -রা রাজ্যে প্রচার চালাবেন জিএসটি নিয়ে। তৃণমূল জিএসটির বিরুদ্ধে প্রচার শুরুর আগেই বিজেপি প্রচার ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে।
বিজেপি-র এই কৌশল কতটা কাজ করবে, সেটা ভবিষ্যৎই বলবে। তার আগে একটা জিনিস স্পষ্ট, নোট বন্দি থেকে শিক্ষা নিয়ে জিএসটি ইস্যুতে তৃণমূলকে ফাঁকা জমি দিতে চাইছে না বিজেপি। তাই একেবারে কোমর বেঁধেই প্রচারে নামছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। এদিন বিজেপি-র রাজ্য ট্রেডার্স সেলের সঙ্গে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।